ম্যাচের সেরা হুগলির তিতাস সাধু।
তাঁর হাত ধরেই মহিলাদের প্রথম অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ম্যাচের সেরা হুগলির সেই তিতাস সাধুর বাড়ির সামনে এখন বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। ফাইনাল ম্যাচে মেয়ের এমন পারফরম্যান্স দেখে গর্বে বুক ভরে উঠেছে বাবা রণদীপ সাধুর। প্রৌঢ় জানাচ্ছেন, বড় ম্যাচে তাঁর মেয়ে বরাবরই ফল করেন। রণদীপ এক প্রকার নিশ্চিতই ছিলেন, এই ম্যাচেও মেয়ে ভালই খেলবেন।
তিতাস চুঁচুড়ার বাসিন্দা। চুঁচুড়ার মাঠে অনুশীলন করেই ভারতীয় দলে খেলার সুযোগ হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইনিংসের শুরুতেই ৪ ওভারে ৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট তুলে নিয়েছেন জোরে বোলার তিতাস। আর তাতেই বদলে গিয়েছে ম্যাচের গতিপ্রকৃতি। রণদীপ বলেন, ‘‘প্রত্যাশা ছিল, মেয়ে ভাল বল করবে। সেই প্রত্যাশা পূরণ হল।’’ বাবার মতে, রণদীপের মতে, ৮০ শতাংশ বল যেখানে করা উচিত ছিল, মেয়ে সেখানেই বল করেছে। তাঁর কথায়, ‘‘মেয়ে খুব ভাল খেলেছে। শুধু আমার মেয়ে নয়, সকলেই ভাল খেলেছে। বল, ব্যাট, ফিল্ডিং সবেতেই। নইলে এ ভাবে জেতা যায় না। প্রথম বারই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হল ভারত।’’
রণদীপ জানান, টুর্নামেন্টের শুরুতে মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হয় তিতাসের। কিন্তু টুর্নামেন্ট যত এগোয়, মেয়ের খেলা তত খুলতে থাকে। তিতাসের উদ্দেশে বাবার পরামর্শ, ‘‘মেয়েকে বলব, জাতীয় দলে খেলার জন্য আরও ভাল করে অনুশীলন করতে হবে। অনেকেই ঝুলন গোস্বামীর সঙ্গে মেয়ের তুলনা করছে। সেটা তো ভবিষ্যত বলবে। ঝুলনের মতো হতে গেলে ফিট থাকতে হবে। দীর্ঘ দিন খেলার মানসিকতা রাখতে হবে।’’
তিতাসের কোচ প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি যেমনটা চেয়েছেন, সেমি ফাইনাল থেকে তেমনই খেলেছেন তিতাস। তাঁর কথায়, ‘‘ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। বলে বোঝানো সম্ভব নয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এই ধরনের পারফরম্যান্স! ভাবা যায় না। ভবিষ্যতে ওঁর জন্য আরও ভাল কিছু অপেক্ষা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy