সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি আফগানিস্তান ও হংকং। ভারত নামছে বুধবার। প্রতিপক্ষ আমিরশাহিই। ভারতীয় সমর্থকেরা যদিও এই ম্যাচ নিয়ে ভাবছেন না। তাঁদের পাখির চোখ রবিবারের ভারত-পাক দ্বৈরথে।
ভারতের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলও তাকিয়ে পাক-দ্বৈরথের দিকে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, একেবারেই সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা হচ্ছে না ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের।
ভারতীয় দলের বোলিং কোচ বলেছেন, ‘‘সম্প্রতি পাকিস্তান খারাপ খেলছে না। পাক-দ্বৈরথে নামতে আমরা খুবই উত্তেজিত।’’ যোগ করেন, ‘‘ওদের একেবারেই হাল্কা ভাবে নিচ্ছি না। কী ভাবে আমরা ভাল খেলতে পারি, সেই দিকেই নজর থাকছে।’’
মর্কেল জানিয়েছেন, পাক ক্রিকেটারদের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে তাঁরা ওয়াকিবহাল। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা সব সময়ই দেখে নিই প্রতিপক্ষ কতটা শক্তিশালী অথবা কোথায় ওরা দুর্বল। দিনের শেষে যদিও নিজেরা কেমন খেলছি সেই দিকেই নজর থাকে।’’
পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আলি আঘা যদিও হুঙ্কার দিয়েছেন ভারতীয় দলকে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা তৈরি। দলের সকলে ভাল ফর্মে আছে। নওয়াজ় ফিরে আসার পর থেকে দারুণ খেলছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব ভাল করছে। এশিয়া কাপেও এই কাজটাই ও করবে।”
সলমন মনে করেন, আমিরশাহির পরিবেশে অতিরিক্ত স্পিনার খেলাবে তারা। বলেছেন, ‘‘যেখানে দরকার পড়বে আমরা দুই স্পিনার খেলাব। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের স্পিনারদের বিরুদ্ধে ভারত সমস্যায় পড়বে। এ বার ওদের কপালে দুঃখ আছে।”
মর্কেল যদিও পাক-দ্বৈরথ নিয়ে হুঙ্কার দেননি। প্রত্যেক দলকেই সম্মান করছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়েই আমরা দল গড়েছি। এ বারের এশিয়া কাপ প্রত্যেকের কাছে শেখার মঞ্চ। যে কোনও মূূল্যে এই প্রতিযোগিতা আমরা জিততে চাই।’’
সোমবার অনুশীলন করেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। জিতেশ শর্মার ব্যাটিংয়ের উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়। কিন্তু একেবারে শেষে ব্যাট দেওয়া হয় সঞ্জু স্যামসনকে। তা হলে কি সঞ্জুকে প্রথম একাদশে দেখছেন না কোচ গৌতম গম্ভীর? ব্যাট দেওয়া হল না রিঙ্কু সিংহকেও। হয়তো তাঁকেও প্রথম একাদশে দেখছেন না কোচ। কারণ, নতুন বলে ব্যাট করানো হয় শুভমন গিল ও অভিষেক শর্মাকে। এই ছবিই হয়তো বলে দিতে পারে, টি-টোয়েন্টিতে ভারতের নতুন ওপেনিং জুটিকে দেখা যাবে।
প্রশ্ন উঠছে, কুলদীপ যাদবকে কি এ বার অন্তত প্রথম একাদশে সুযোগ দেওয়া হবে? মর্কেলের উত্তর, ‘‘প্রয়োজন দেখেই গড়া হবে একাদশ।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)