Advertisement
E-Paper

ঋদ্ধির মতোই পুরনো রাজ্যে ফিরলেন হনুমা, সৌরভের ভূমিকায় অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল

হনুমা বিহারী জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি আর অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে খেলবেন না। ছাড়পত্রও চেয়েছিলেন। কিন্তু তিন মাসের মধ্যেই মতবদল। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের পর আবার অন্ধ্রের হয়ে খেলতে রাজি হনুমা।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪ ১১:২৩
Hanuma Vihari

হনুমা বিহারী। —ফাইল চিত্র।

ঋদ্ধিমান সাহার পথে ভারতের আর এক ক্রিকেটার হনুমা বিহারী। ঋদ্ধি যেমন ত্রিপুরা ছেড়ে আবার বাংলায় ফিরেছেন, তেমনই হনুমাও আবার পুরনো রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশে ফিরলেন। ঋদ্ধির বাংলায় ফেরার ক্ষেত্রে যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা ছিল, হনুমা ফিরলেন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল বড় ভূমিকা নিল হনুমাকে ফেরানোর নেপথ্যে।

রঞ্জি শেষ হতেই নিজের রাজ্য দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন হনুমা। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিলেন। জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি আর অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে খেলবেন না। ছাড়পত্রও চেয়েছিলেন। ঋদ্ধি যেমন ত্রিপুরায় চলে গিয়েছিলেন, হনুমা মনস্থির করেছিলেন তিনি মধ্যপ্রদেশের হয়ে খেলবেন। কিন্তু তিন মাসের মধ্যেই মতবদল। অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষমতায় থাকা তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) হস্তক্ষেপে আবার সেই রাজ্যের হয়ে খেলতে রাজি তিনি।

এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হনুমা জানিয়েছিলেন তিনি আর অন্ধ্রের হয়ে খেলতে রাজি নন। তাঁর নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। মার্চ মাসে তাঁকে শোকজ় করেছিল অন্ধ্র ক্রিকেট সংস্থা। এর পরেই অন্ধ্র ছেড়ে দেন হনুমা। তাঁকে প্রস্তাব দেয় মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা। হনুমাকে ছাড়পত্রও দিয়ে দেয় অন্ধ্র ক্রিকেট সংস্থা। কিন্তু তিন মাসের মধ্যেই আবার অন্ধ্র দলে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন ভারতের হয়ে ১৬টি টেস্ট খেলা হনুমা।

হনুমা বলেন, “মন্ত্রী নারা লোকেশ গারুর (টিডিপি-র সাধারণ সম্পাদক) সঙ্গে দেখা করে আমি খুব খুশি। অন্ধ্র ক্রিকেট সংস্থায় ফিরলে তিনি আমাকে সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন। ওঁর সঙ্গে দেখা করে আমি খুব খুশি। অন্ধ্র ক্রিকেট সংস্থা নিয়ে তাঁর ভাবনাকে সম্মান করি। গত দু’বছর ধরে আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। সেই কারণেই অন্ধ্র ছাড়তে চেয়েছিলাম। অন্য রাজ্যে চলে যেতে চেয়েছিলাম। তবে এখন সমর্থন পেয়েছি। তাই ফিরে এসে ভাল লাগছে। আরও অনেক বছর অন্ধ্রের হয়ে খেলতে চাই।”

মার্চ মাসে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে অন্ধ্র ক্রিকেট সংস্থা জানিয়েছিল যে, হনুমাকে মেল করে শোকজ় করা হয়েছে। কিন্তু হনুমা উত্তর দেননি। অন্ধ্রের এক কর্তা সেই সময় বলেছিলেন, “আমরা হনুমাকে শোকজ় করেছি। ওর উত্তর এখনও পাইনি। গত মাসে ও যে ব্যবহার করেছিল, সেটার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। ও আমাদের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি। সেই সুযোগটা দেওয়া হয়েছে হনুমাকে। আমাদের রাজ্যের ক্রিকেটের উন্নতির নেপথ্যে ওর বড় ভূমিকা রয়েছে। সেটাকে আগ্রাহ্য করা যাবে না।” এক সংবাদমাধ্যমকে হনুমা বলেছিলেন, “আমি অন্য দলের হয়ে খেলতে চাই। অন্ধ্র ক্রিকেট সংস্থার কাছে ছাড়পত্র চেয়েছি। ওদের উত্তরের অপেক্ষায় আছি।” রাজ্য সংস্থার চিঠির জবাবে হনুমা জানতে চেয়েছেন, তাঁর সঙ্গে এমন ব্যবহার কেন করা হয়েছে।

রঞ্জি ট্রফিতে অন্ধ্রের শেষ ম্যাচের পর বিদ্রোহ করেছিলেন হনুমা। ক্রিকেট দলে রাজনৈতিক দলের প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি লিখেছিলেন, “বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক ছিলাম। সেই ম্যাচে দলের ১৭ নম্বর খেলোয়াড়ের উপর চিৎকার করেছিলাম। ও গিয়ে নিজের বাবাকে (যিনি একজন রাজনীতিবিদ) অভিযোগ করে। ওর বাবা রাজ্য সংস্থাকে নির্দেশ দেন আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। গত বারের ফাইনালিস্ট বাংলার বিরুদ্ধে আমরা ৪১০ তাড়া করে জিতলেও কোনও কারণ ছাড়াই আমাকে নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।”

Hanuma Vihari Ranji Trophy BCCI Andhra Pradesh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy