ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ় জিতে নিয়েছে ভারত। কিন্তু একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অলরাউন্ডার শিবম দুবের বদলে বোলার হর্ষিত রানাকে ম্যাচের মাঝে কনকাশন পরিবর্ত হিসাবে নামায় ভারত। কিন্তু তাতে কি নিয়মভঙ্গ করেছে তারা? বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল বুঝিয়ে দিলেন কোন নিয়মে হর্ষিতকে খেলিয়েছে ভারত।
ক্রিকেটে ২০১৯ সাল থেকে কনকাশন পরিবর্তনের নিয়ম রয়েছে। অর্থাৎ, কোনও ক্রিকেটারের মাথায় চোট লাগলে, তাঁর পরিবর্ত এক জন ক্রিকেটারকে খেলানো যেতে পারে। পরিবর্ত হিসাবে নামা ক্রিকেটার ব্যাটিং, বোলিং করতে পারেন। সাধারণত চোট পাওয়া ক্রিকেটারের বদলে কাউকে নামানো হলে তিনি শুধু ফিল্ডিং করতে পারেন। মাথায় চোট লাগলেই শুধু কনকাশন পরিবর্ত খেলানো যায়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, যে ধরনের ক্রিকেটার চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ছেন, তেমনই এক জন ক্রিকেটারকে দলে নিতে হবে। অর্থাৎ, ব্যাটারের পরিবর্তে ব্যাটার, বোলারের পরিবর্তে বোলার এবং অলরাউন্ডারের পরিবর্তে অলরাউন্ডার। প্রশ্ন উঠছে, অলরাউন্ডার শিবমের বদলে বোলার হর্ষিতকে নামানোয়। হর্ষিত তিনটি উইকেট নিয়ে দলকে জেতান।
আরও পড়ুন:
ভারতের বোলিং কোচ মর্কেল যদিও বিতর্ক মানতে নারাজ। ব্যাট করতে নেমে শিবম দলকে বাঁচান। অর্ধশতরান করেন। কিন্তু ইনিংসের শেষবেলায় জেমি ওভারটনের বল শিবমের হেলমেটে লাগে। ইনিংস শেষ করে সাজঘরে ফেরার পর মাথাব্যথা শুরু হয় তাঁর। যে কারণে কনকাশন সাব নামায় ভারত। মর্কেল বলেন, “আমি যত দূর জানি, ব্যাট করার পর সাজঘরে ফিরে শিবমের মাথায় ব্যথা শুরু হয়। সেই কারণে আমরা কনকাশন পরিবর্ত হিসাবে ম্যাচ রেফারির কাছে একটা নাম জমা দিই। ম্যাচ রেফারি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হর্ষিতকে খেলানো যাবে। সেটাই শেষ সিদ্ধান্ত।”
ভারতের বোলিং কোচ বিতর্ক মানতে না চাইলেও তা এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বলেন, “শিবমের পরিবর্ত কখনও হর্ষিত হতে পারে না। বিশ্বের যে কোনও কাউকে জিজ্ঞেস করলেই এটাই বলবে। শিবম পেসার নয়। কিন্তু হর্ষিত পুরোপুরি পেসার। এটা নিয়ে ম্যাচের পর কথা হবে।” ভারতীয় দলে পেসার অলরাউন্ডার হিসাবে রমনদীপ সিংহ ছিলেন। তার পরেও হর্ষিত খেলানোয় বিতর্ক আরও বেড়ে যায়।