হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের কাছে পর পর দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারের পরে কি নিজের দলের উপরেই আস্থা হারাতে শুরু করেছেন হার্দিক পাণ্ড্য? নইলে কেন দলের ক্রিকেটারদের প্রতি বিশ্বাস রাখার কথা বলবেন তিনি? কেনই বা দলের মধ্যে ভারসাম্য খোঁজার চেষ্টা করবেন ভারত অধিনায়ক?
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারের পরে হার্দিক বলেন, ‘‘সত্যি বলতে দলের ব্যাটিংয়ে আমি খুশি হতে পারছি না। এই উইকেটে ১৬০ থেকে ১৭০ রান করতে হত। তা হলে ম্যাচ জেতা যেত।’’ যে হার্দিক প্রথম ম্যাচে হারের পরে বলেছিলেন, ভুল শুধরে মাঠে নামবেন, সেই হার্দিকই দ্বিতীয় ম্যাচে হারের পরে স্পষ্টতই হতাশ। তিনি বুঝতে পারছেন না কী ভাবে জয়ের রাস্তায় ফিরবেন।
ভারতের এই দলে অনেক তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে। তিলক বর্মা ও মুকেশ কুমারের এটিই প্রথম সিরিজ়। তাই তাঁদের উপর ভরসা রাখার কথা বলেছেন হার্দিক। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের যা দল আছে তাতে প্রথম সাত জন ব্যাটারের উপর ভরসা করতে হবে। তার পর আশা করতে হবে যে বোলারেরা দলকে জেতাবে। দলের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য খুঁজতে হবে আমাদের। কিন্তু তার আগে ব্যাটারদের নিজেদের দায়িত্ব নিতে হবে। এ ভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে আউট হলে চলবে না।’’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই দলের ব্যাটিং ব্যর্থ হয়েছে। একমাত্র নজর কেড়েছেন তিলক বর্মা। প্রথম ম্যাচে ৩৯ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে অর্ধশতরান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। কিন্তু দলের বাকিরা ব্যর্থ। তার মধ্যে হার্দিক নিজেও রয়েছেন। দু’টি ম্যাচে যথাক্রমে ১৯ ও ২৪ রান করেছেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫২ রান করে ভারত। নির্দিষ্ট ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। তারই খেসারত দিতে হয় দলকে। রান তাড়া করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের দাপটে একটা সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের উপর চাপ তৈরি হলেও ম্যাচ বার করে নেয় তারা। সাত বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ়।
এই প্রথম বার ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে পর পর দু’টি টি-টোয়েন্টি হারল আইসিসি ক্রমতালিকায় এক নম্বরে থাকা দল ভারত। মঙ্গলবার সিরিজ়ের তৃতীয় ম্যাচ। সিরিজ়ে টিকে থাকতে হলে সেই ম্যাচে জিততেই হবে হার্দিকদের। নইলে সিরিজ়ের পাশাপাশি এক নম্বর আসনও খোয়াতে হবে ভারতকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy