গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ় ১-৩ ব্যবধানে হেরে ফিরেছিল ভারত। কোচ গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। সাজঘরে তাঁর ব্যবহারের কথাও প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে হারিয়েই সাজঘরের সেই ঘটনা গুজব বলে উড়িয়ে দিলেন গম্ভীর।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থেরা। সেই দলের সাজঘরে গম্ভীরের রুদ্রমূর্তি দেখা গিয়েছিল বলে শোনা যায়। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে খেলেন সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পাণ্ড্য, অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যামসনেরা। তাঁরা খোশমেজাজে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলছিলেন। সেটা দেখেই গম্ভীরকে সাজঘরের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন কেভিন পিটারসেন।
গম্ভীরের প্রশিক্ষণে লাল বলের ক্রিকেটে সে ভাবে দাপট দেখাতে পারেনি ভারত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতলেও হারতে হয়েছে নিউ জ়িল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে দাপট দেখাচ্ছে ভারত। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। সেখানে সম্পূর্ণ একটা অন্য দল খেলে ভারতের। টেস্ট খেলা কোনও ক্রিকেটারই প্রায় টি-টোয়েন্টি দলে নেই। গম্ভীর যদিও প্রমাণ করতে চাইলেন দু’টি একই দল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় জিতে তিনি বলেন, “ওরা একসঙ্গে অনেক দিন ধরে খেলছে। এক মাস আগে গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট এমনই। দল জিততে না পারলে সাজঘর নিয়ে অনেক কথাই শোনা যায়। কিন্তু জিততে শুরু করলেই সব ঠিক হয়ে যায়।”
কী হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়? চতুর্থ টেস্টে হারের পর ভারতীয় দলের অন্দরের গোলমালের কথা প্রকাশ্যে চলে আসে। সেখানে কোচ দুষছেন ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটারেরা দুষছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। এমনই খবর প্রকাশ করেছিল একটি ইংরেজি দৈনিক। মেলবোর্নে মাত্র ২০.৪ ওভারের মধ্যে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হাতে ম্যাচ তুলে দিয়েছিল ভারত। এক সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচটি বাঁচিয়ে ফেলবে ভারত। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। ভারতীয় ব্যাটারেরা হতাশ করেছিলেন। আর সেই হারের পরে নাকি সাজঘরেই দেখা গিয়েছিল ক্ষুব্ধ গম্ভীরকে। আবার ক্রিকেটারেরা খুশি নন রোহিতের নেতৃত্ব নিয়ে।
জানা গিয়েছিল, কোচ গম্ভীর কারও নাম নেননি, কিন্তু তিনি ক্রিকেটারদের খেলায় ক্ষুব্ধ। সেই সব ক্রিকেটারের তিনি সমালোচনা করেছিলেন, যাঁরা দলের কথা না ভেবে নিজেদের ইচ্ছেমতো শট খেলেছিলেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেননি তাঁরা। গম্ভীর কারও নাম না নিলেও মেলবোর্নে দ্বিতীয় ইনিংসে পরিস্থিতি না বুঝে শট খেলার জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন ঋষভ পন্থ।
সাজঘরের পরিস্থিতিও থমথমে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে ক্রিকেটারদের একাংশের ক্ষোভ আবার রোহিতকে নিয়ে। তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ছিলেন না। সেই সময় অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারই এগিয়ে আসেন ‘সব কিছু ঠিক করে দেওয়ার’ মনোভাব নিয়ে। তাঁদের আসল নজর নেতৃত্বের দিকে ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। অন্তত দু’জন ক্রিকেটার অধিনায়ক হওয়ার জন্য উদ্গ্রীব বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা দেশের হয়ে স্পেশ্যাল কিছু করতে চাইছিলেন চলতি সিরিজ়ে।
পরে নিউজ ২৪ সূত্রে জানা গিয়েছিল, সরফরাজ় খান সংবাদমাধ্যমে এই কথা ফাঁস করেছিলেন। গম্ভীর সেই নাম বোর্ডের রিভিউ বৈঠকে জানিয়েছেন। যে বৈঠকে প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা উপস্থিত ছিলেন। গম্ভীর খুব নিশ্চিত যে, সরফরাজ়ই সব তথ্য সমাজমাধ্যমে বলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy