আর্থিক পুরস্কার, সংবর্ধনা, রাতারাতি তারকা হওয়া নয়, বিশ্বকাপ জয়ের সবচেয়ে বড় পুরস্কার অন্য। অন্তত তেমনটাই মনে করেন জেমাইমা রদ্রিগেজ়। ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছেন তিনি। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো শতরান করেছেন। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে সবচেয়ে বড় কোন পুরস্কার পেয়েছেন তিনি, তা জানিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটার।
জেমাইমার মতে, তাঁদের বিশ্বকাপ জয়ের পর ভারতীয় ক্রিকেটের ছবিটা বদলে গিয়েছে। এখন বাবা-মায়েরা তাঁদের ছেলেদের শুধু সচিন তেন্ডুলকর বা বিরাট কোহলির মতো পুরুষ ক্রিকেটার নন, মহিলা ক্রিকেটারদেরও আদর্শ মানতে বলছেন, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। একটি সাক্ষাৎকারে জেমাইমা বলেন, “২০১৭ সালের বিশ্বকাপের পর থেকেই ছবিটা বদলাতে শুরু করেছিল। গত দু’বছরে তা আরও বদলেছে। আর এ বারের বিশ্বকাপ জেতার পর ছবিটা পুরো বদলে গিয়েছে।”
জেমাইমার মতে, এত দিনে ভারতে মহিলা ক্রিকেট স্বাবলম্বী হয়েছে। তিনি বলেন, “এখন দেখে মনে হচ্ছে, ভারতের মহিলা ক্রিকেট স্বাবলম্বী হয়েছে। এখন দেখছি বাবা-মায়েরা চাইছে, তাঁদের ছেলে আমার মতো খেলুক। এটাই সবচেয়ে বড় পুরস্কার।” তবে তাঁর মতে, এখনও অনেকটা পাড়ি দিতে হবে মহিলা ক্রিকেটকে। জেমাইমা বলেন, “এটা সবে শুরু। আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে। এখন আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। সকলের সামনে আমাদের দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে।”
আরও পড়ুন:
জেমাইমা নিজে সচিনকে দেখে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন। তাঁর বয়স তখন মাত্র ১১। সেই প্রসঙ্গে ভারতের মহিলা ক্রিকেটার বলেন, “আমার যাত্রা শুরু ১১ বছর বয়স থেকে। ওয়াংখেড়ের গ্যালারি থেকে সচিন স্যরকে বিশ্বকাপ হাতে দেখেছিলাম। তখন থেকেই বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখেছি। সেই স্বপ্ন এত দিনে সত্যি হয়েছে। বিশ্বকাপ জেতার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।”
বিশ্বকাপ জেতার পর অবশ্য বিশ্রাম নিতে পারেননি জেমাইমা। মহিলাদের বিগ ব্যাশ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছেন তিনি। ব্রিসবেন হিটের হয়ে খেলছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে রান পাননি। তবে বিশ্বকাপেও তো শুরুটা তেমনই হয়েছিল। এখানেও হয়তো পরের দিকে ম্যাচ জেতানো ইনিংস দেখা যাবে জেমাইমার ব্যাট থেকে। সেটাই আশা তাঁর ভক্তদের।