কিছু দিন আগে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন বরুণ চক্রবর্তী। দুবাইয়ে তাঁর বোলিং কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিল। সেই বরুণ চার বছর আগের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ হওয়ার পর কী ভাবে ফোনে হুমকি পেতেন, দেশে ফিরতে বারণ করা হয়েছিল সে কথা জানিয়েছেন তিনি।
বরুণ ভেবেছিলেন, ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারতের হয়ে আর কোনও দিন খেলতে পারবেন না। সেই বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ খেলে একটিও উইকেট নিতে পারেননি। ভারত গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। পাকিস্তানের কাছে হারে ১০ উইকেটে।
এক ইউটিউব অনুষ্ঠানে বরুণ বলেছেন, “২০২১ বিশ্বকাপের পর হুমকি ফোন পেয়েছিলাম। বলা হত, ‘ভারতে ফিরো না। চেষ্টা করলেও ফিরতে পারবে না’। লোকে আমার বাড়িতে পর্যন্ত চলে আসত। আমার উপরে নজর রাখা হত। নিজেকে লুকিয়ে রাখতে বাধ্য হতাম। বিমানবন্দর থেকে ফেরার সময় দু’জন আমাকে বাইকে করে অনুসরণ করেছিল। তবে আমি জানতাম, সমর্থকেরা এ রকম আবেগপ্রবণই হয়।”
আরও পড়ুন:
বিশ্বকাপের পরবর্তী সময়ের কথা এখনও ভুলতে পারেন না বরুণ। বলেছেন, “আমার কাছে ওটা ছিল কালো অধ্যায়। আমি ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলাম। দেশের হয়ে খেলেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারিনি। একটাও উইকেট না পাওয়ার আক্ষেপ ছিল। তিন বছর আমি দলে জায়গা পাইনি। তাই অভিষেকের চেয়েও আমার কাছে প্রত্যাবর্তন কঠিন ছিল।”
সেই বিশ্বকাপের পর নিজেকে অনেক বদলে ফেলেন বরুণ। যে ভাবে জীবনযাপন করতেন সেই প্রক্রিয়ায় বদল আনেন। বরুণের কথায়, “আগে একটা সেশনে ৫০টা বল করতাম। সেটা দ্বিগুণ করে দিই। জানতামও না যে নির্বাচকেরা আদৌ আমায় আর ডাকবেন কি না। খুব কঠিন সময় ছিল। তিন বছর পর সব বদলে গেল। আমরা আইপিএল জিতলাম। জাতীয় দলে ডাক পেলাম। খুব খুশি হয়েছিলাম তখন। আমি বিশ্বাস করি না যে সব ভাল জিনিস এক বারেই হয়। আমি নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।”