সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি ফাইনালে চেনা মেজাজে পাওয়া গিয়েছে ঈশান কিশনকে। ঝাড়খণ্ডের হয়ে আগ্রাসী শতরান করার পাশাপাশি উইকেটরক্ষক হিসাবেও নিখুঁত ছিলেন। এক সময় ভারতীয় দলের প্রায় নিয়মিত সদস্য হয়ে যাওয়া ঈশান অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন। অফ ফর্ম, বিতর্ক পিছনে ফেলে ২৭ বছরের ক্রিকেটার আবার এগোতে চাইছেন। তবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়ার আশা করছেন না।
দেশে হয়ে ২টি টেস্ট, ২৭টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৩২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার পর হঠাৎই হারিয়ে যান ঈশান। ২০২৪ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর অবসাদে চলে গিয়েছিলেন অন্তরালে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নির্দেশ মানেননি। ঝাড়খণ্ডের কর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতেন না। অবাধ্যতার জন্য শাস্তিও পেতে হয়েছে তাঁকে। ভারতীয় দল থেকেও চলে গিয়েছেন দূরে। ২২ গজে ফিরেও ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফর্ম করতে পারছিলেন না। তবে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালের পারফরম্যান্স আবার আলোচনায় এনে দিয়েছে তাঁকে।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে ঝাড়খণ্ড অধিনায়ক ঈশান বলেছেন, ‘‘ভাল পারফর্ম করার পরও ভারতীয় দলে নির্বাচিত হইনি। তখন খারাপ লেগেছিল। নিজেকে বুঝিয়ে ছিলাম, এমন পারফর্ম করেও যদি সুযোগ না পাই, তা হলে আমাকে আরও ভাল কিছু করে দেখাতে হবে। দলকে জেতানোর মতো পারফরম্যান্স করতে হবে। আমাদের দল হিসাবে আরও ভাল কিছু করতে হবে।’’
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে সবচেয়ে রান করেছেন ঈশান। ১০টি ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫১৭ রান। স্ট্রাইক রেট ১৯৭.৩২। এমন পারফরম্যান্সের পরও সম্ভবত আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা হবে না উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের। বিষয়টি অজানা নয় ঈশানেরও। তবে আর হতাশ হতে চান না। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা অনেক সময় অনেক কিছু আশা করি। দলে নিজের নাম না দেখলে একটু তো খারাপ লাগেই। কিন্তু মানসিক ভাবে আমি এখন অনেক শক্ত। কোনও প্রত্যাশা নিয়ে খেলি না। শুধু নিজের কাজটা ভাল ভাবে করার চেষ্টা করি।’’
ঝাড়খণ্ডকে প্রথম বার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন করে তৃপ্ত ঈশান। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার ক্রিকেটজীবনের অন্যতম খুশির মুহূর্ত সৈয়দ মুস্তাক আলি জয়। আমরা আগে কখনও এই ট্রফিটা জিততে পারিনি। আমার নেতৃত্ব প্রথম ট্রফি এল। ভাল তো লাগবেই। আসলে আমি এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। নিজের ব্যাটিংয়ের উপরও ভরসা বেড়েছে।’’
আরও পড়ুন:
ঈশান হতাশ হতে নারাজ। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তরুণদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘হতাশা আরও পিছিয়ে দেয়। বরং পরিশ্রম বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে হবে। যেটা করতে চাও, সেটা লক্ষ্য রেখেই এগোতে হবে। লক্ষ্যে পৌঁছোতে হবে।’’ পেশাদার খেলায় চাপ, হতাশা সামলাতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।