ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসাবে এ বারের আইপিএলে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু এ বার তারা ব্যর্থ। জঘন্য খেলেছে কেকেআর। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ১১০ রানে হেরে শেষ হয়েছে দুঃস্বপ্নের মরসুম। এ বারের জঘন্য খেলার দায় দলের ব্যাটারদের উপরেই চাপিয়েছেন অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। বোলারদের বিশেষ দোষ দেখছেন না তিনি।
এ বারের আইপিএলে কেকেআর সমর্থকদের নজর ছিল বেঙ্কটেশ আয়ারের দিকে। নিলামে ২৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় তাঁকে কিনেছিল কলকাতা। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, তাঁকেই অধিনায়ক করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সহ-অধিনায়ক করা হয় তাঁকে। দলের মতোই দুঃস্বপ্নের মরসুম কেটেছে বেঙ্কটেশের। ১১টা ম্যাচে মাত্র ১৪২ রান করেছেন তিনি। শেষ তিনটে ম্যাচে তাঁকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখতে বাধ্য হয়েছে দল। তবে কি ব্যাটার বলতে বেঙ্কটেশের দিকে আঙুল তুলেছেন রাহানে?
না, রাহানে সরাসরি বেঙ্কটেশকে দায়ী করেননি। তিনি উল্টে তাঁর ডেপুটির পাশেই দাঁড়িয়েছেন। রাহানে বলেন, “কাউকে ২০ কোটিতে কেনা হোক, বা ২ কোটিতে, মাঠে তার আচরণে বদল হওয়া উচিত নয়। বেঙ্কটেশেরও হয়নি। ও পরিশ্রম করেছে। ভাল খেলার চেষ্টা করেছে। দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছে। ওর আচরণ নিয়ে আমার কোনও সমস্যা হয়নি।” রাহানের মতে, এই মরসুমটা খারাপ গিয়েছে বেঙ্কটেশের। তার জন্য তাঁকে দায়ী করা উচিত নয়। রাহানে বলেন, “একটা খারাপ মরসুম যে কোনও ক্রিকেটারের হতে পারে। নিলামে বড় টাকার চাপ তার জন্য দায়ী নয়। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে একসঙ্গে তিন-চার জন ক্রিকেটারের ফর্ম খারাপ হয়েছে। তার জন্যই হারতে হয়েছে।”
আরও পড়ুন:
বেঙ্কটেশকে দায়ী না করলেও ব্যাটারদের তো দায়ী করেছেন রাহানে। তাঁদের মধ্যে বেঙ্কটেশও এক জন। তা হলে তো ঘুরিয়ে তাঁকেও দায়ী করেছেন অধিনায়ক। রাহানের মতে, ব্যাটারেরা অহেতুক নিজেদের উপর চাপ নিয়েছেন। তাতে দলকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তিনি বলেন, “কয়েকটা মরসুম ভাল গেলে সকলের প্রত্যাশা বেড়ে যায়। তখন অনেকে নিজের উপর অহেতুক চাপ নিয়ে ফেলে। প্রত্যেকেরই এই সমস্যা হয়। আমাদের দলের ব্যাটারেরা ভাল ফর্মে ছিল। গত বার খুব ভাল খেলেছে। এ বার ওরা নিজেরাই নিজেদের উপর চাপ বাড়িয়ে ফেলেছে। তাই পারফরম্যান্স খারাপ হয়েছে।” অবশ্য রাহানে নিশ্চিত, পরের মরসুমে আবার ভাল ভাবে ফিরবেন রিঙ্কু সিংহ, রমনদীপ সিংহেরা।
ব্যাটারদের দায়ী করলেও বোলারদের উপর দোষ চাপাননি রাহানে। উল্টে সকলের প্রশংসা করেছেন তিনি। রাহানে বলেন, “হর্ষিত জাতীয় দল ও আমাদের হয়ে ভাল খেলেছে। বরুণ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খুব ভাল খেলেছে। সেই কারণে হয়তো এ বার ও একটু ক্লান্ত ছিল। কিন্তু হর্ষিত, বরুণ, সুনীল, বৈভবদের পরিকল্পনা নির্দিষ্ট ছিল। সেই অনুযায়ী ওরা বল করার চেষ্টা করেছে।” এ বারের আইপিএলে বেগনি টুপির তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন বরুণ। সপ্তম স্থানে বৈভব। দু’জনেই ১৭টা করে উইকেটে নিয়েছেন। হর্ষিত নিয়েছেন ১৫টা উইকেট।