চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে গুজরাত টাইটান্স হারায় আইপিএলের প্লে-অফে প্রথম দুই দল কারা, তা এখনও নিশ্চিত হয়নি। আইপিএলের গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচে ঠিক হবে কোন দুই দল প্লে-অফের প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলবে। সুযোগ রয়েছে চার দলেরই। তবে প্রত্যেকের সামনে আলাদা আলাদা অঙ্ক রয়েছে।
গুজরাত টাইটান্স (১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট)
গুজরাতের আর কোনও ম্যাচ বাকি নেই। তারা আপাতত শীর্ষে থাকলেও তাদের প্রথম দুইয়ে শেষ করার নিশ্চয়তা নেই। যদি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু নিজেদের শেষ ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে হারে তা হলেই একমাত্র প্রথম দুই দলের মধ্যে শেষ করবে গুজরাত। আর যদি বেঙ্গালুরু লখনউকে হারায় তা হলে শুভমন গিলদের প্রার্থনা করতে হবে যাতে পঞ্জাব-মুম্বই ম্যাচ ভেস্তে যায়। তা হলেও নেট রানরেটে শীর্ষ দুই দলের মধ্যে থাকবেন তাঁরা।
পঞ্জাব কিংস (১৩ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট)
পঞ্জাবের সহজ হিসাব। নিজেদের শেষ ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারাতে হবে তাদের। তা হলেই প্রথম দুই দলের মধ্যে একটি হবে তারা। কিন্তু যদি মুম্বইয়ের কাছে তারা হারে তা হলে আর প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলা হবে না শ্রেয়স আয়ারদের। পঞ্জাব-মুম্বই ম্যাচ ভেস্তে গেলে শ্রেয়সদের প্রার্থনা করতে হবে যে বেঙ্গালুরু যেন শেষ ম্যাচে লখনউয়ের কাছে হারে বা সেই ম্যাচ ভেস্তে যায়। তা হলে গুজরাতের পরে দ্বিতীয় দল হিসাবে শেষ করবে তারা।
আরও পড়ুন:
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (১৩ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট)
বেঙ্গালুরুরও একই হিসাব। শেষ ম্যাচে লখনউকে হারালেই প্রথম দুইয়ে শেষ করবেন বিরাট কোহলিরা। অন্য কোনও দলের দিকে তাকাতে হবে না তাঁদের। কিন্তু যদি বেঙ্গালুরু নিজেদের ম্যাচ হারে তা হলে আর প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলতে পারবে না তারা। বেঙ্গালুরু-লখনউ ম্যাচ ভেস্তে গেলেও স্বপ্নভঙ্গ হবে কোহলিদের। সে ক্ষেত্রে পঞ্জাব-মুম্বই ম্যাচ ভেস্তে গেলেও কোনও লাভ হবে না তাঁদের। কারণ, পঞ্জাবের নেট রানরেট বেঙ্গালুরুর থেকে বেশি।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট)
গুজরাত নিজেদের শেষ দুই ম্যাচ হেরেছে। পঞ্জাব ও বেঙ্গালুরুও নিজেদের শেষ ম্যাচ হারায় সুযোগ বেড়েছে মুম্বইয়ের। নিজেদের শেষ ম্যাচে পঞ্জাবকে হারালেই প্রথম দুই পাকা হার্দিক পাণ্ড্যদের। কারণ, তাদের নেট রানরেট সবচেয়ে বেশি। তবে পঞ্জাবের কাছে তারা হারলে বা ম্যাচ ভেস্তে গেলে আর প্রথম দুইয়ে পৌঁছতে পারবে না মুম্বই।