গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র
আবার বিতর্কে জড়িয়েছেন গৌতম গম্ভীর। মাঠেই এক সময়ের সতীর্থ এস শ্রীসন্থের সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের নতুন মেন্টর। গম্ভীরকে ‘ঝগড়ুটে’ বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন শ্রীসন্থ। সেই ঘটনার ১৭ ঘণ্টা পরে অবশেষে মুখ খুললেন গম্ভীর। কলকাতার মেন্টর জবাব দিলেন আটটি শব্দে।
নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে ভারতীয় দলের জার্সি পরা নিজের একটি ছবি দিয়েছেন গম্ভীর। সেখানে তাঁকে হাসতে দেখা যাচ্ছে। ক্যাপশনে গম্ভীর লিখেছেন, ‘‘স্মাইল হোয়েন দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ় অল অ্যাবাউট অ্যাটেনশন।’’ এই কথার বাংলা অর্থ, ‘‘যখন গোটা দুনিয়া দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় তখন শুধু হাসো।’’
শ্রীসন্থের নাম না করলেও গম্ভীর হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন যে সবাই তাঁর নাম করে আলোচনার কেন্দ্রে থাকতে চান। আইপিএলে বিরাট কোহলি থেকে শুরু করে সম্প্রতি শ্রীসন্থ, তালিকাটা লম্বা। সেই কারণেই হয়তো তিনি জবাব না দিয়ে শুধু হাসার পথ নিয়েছেন।
লেজেন্ডস লিগে ইন্ডিয়া ক্যাপিটালস বনাম গুজরাত জায়ান্টসের ম্যাচের মাঝে এই ঘটনা ঘটেছে। গুজরাতের শ্রীসন্থের একটি ওভারে পর পর চার এবং ছয় মারেন গম্ভীর। তখন শ্রীসন্থ তাঁর দিকে কড়া চোখে তাকিয়ে থাকেন। পরের বলটি যায় ফিল্ডারের কাছে। তখনই শ্রীসন্থ গম্ভীরকে কিছু একটা বলেন। তার পাল্টা দেন গম্ভীরও। বিষয়টি আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই দু’দলের ক্রিকেটার এবং আম্পায়ারেরা এসে দুই ক্রিকেটারকে আলাদা করে দেন।
ম্যাচের পরে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে শ্রীসন্থ বলেন, “মিস্টার ফাইটারের সঙ্গে যা হয়েছে তা নিয়ে গোটা বিষয়টা পরিষ্কার করে দিতে চাই। গম্ভীর এমন এক জন যে কোনও কারণ ছাড়াই সব সময় ঝগড়া করে। বীরু ভাইয়ের মতো বয়স্ক ক্রিকেটারদেরও সম্মান করে না। আজও ঠিক সেটাই হয়েছে। কোনও ইন্ধন ছাড়াই আমাকে একটানা কিছু বলে যাচ্ছিল যেটা খুব খারাপ। গৌতম গম্ভীরের মতো মানুষের মুখ থেকে সেটা আশা করা যায় না।”
পরে ইনস্টাগ্রামে লাইভে আসেন শ্রীসন্থ। সেখানে তিনি বলেন, “কালকের ঘটনার পর থেকে অনেক খবরই চোখে পড়েছে। অনেক খ্যাতনামীই ভুল খবর ছড়াতে ভালবাসেন। তাই আমার মনে হল লাইভে এসে সবটা আবার পরিষ্কার করা দরকার। গম্ভীর যে রকম লোক তাতে অনেক টাকা খরচ করে নিজের প্রিয় লোকদের দিয়ে অন্য কথা বলাতেই পারে। আমি সাধারণ মানুষ। নিজের লড়াই নিজেকেই লড়তে হয়।”
এর পরেই শ্রীসন্থের সংযোজন, “আমি আগে কিছু বলিনি। কোনও ইন্ধন দিইনি। কিন্তু আমাকে বার বার বলতে লাগল, ‘ফিক্সার, ফিক্সার, তুমি ম্যাচ ফিক্সার।’ আমার দিকে তাকিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ভাবে হাসছিল। ছাপার অযোগ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। এমনকি, আম্পায়ারেরা যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এসেছিলেন তখনও একই ভাষায় আমাকে আক্রমণ করেছে। আমি সরে গিয়েছিলাম। তার পরেও থামেনি। ও যদি সবার সঙ্গে লড়াই করতে চায় করুক। আমি কোনও উত্তর দিতে চাই না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy