ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা বা অতীত সাফল্য নয়, কোচ হতে গেলে থাকতে হবে রসবোধ। জানতে হবে মাইক্রোসফ্ট অফিস। আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের নতুন প্রধান কোচ নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, রশিদ খানদের কোচ হতে গেলে কী কী গুণ থাকতে হবে। শোরগোল ফেলেছে সেই বিজ্ঞপ্তি।
সমাজমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আপাতত ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত আফগানিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব রয়েছে জোনাথন ট্রটের কাঁধে। তার পর কোচ বদলাবে। তারই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বোর্ড।
এই বিজ্ঞপ্তি সামনে আসার পর শুরু হয়েছে সমালোচনা। কেউ বলছেন, কোচ নেওয়ার নাম করে কি মজা করছে বোর্ড? নইলে কেন কোচকে এই সব করতে হবে? কোচের কাজ দলকে আরও উন্নত করা। সাফল্য এনে দেওয়া। সেখানে রসবোধ বা মাইক্রোসফ্ট অফিসের কী কাজ? যেখানে প্রতি দলে তথ্য বিশ্লেষণের জন্য আলাদা লোক থাকে, সেখানে আফগানিস্তানের কোচকে কেন তা করতে হবে? এই ধরনের চাহিদা থাকলে কেউ কোচ হতে রাজি হবেন কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন:
কোচ হওয়ার জন্য আর যে যে গুণের কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, ভিডিয়ো বিশ্লেষণ করে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখতে হবে। প্রতিটি বড় প্রতিযোগিতার পর তা বিশ্লেষণ করতে হবে। দলের স্পিন বোলিং কোচ যিনি হবেন, তাঁকে প্রতিপক্ষ দলের বোলারদের শক্তি, দুর্বলতা খুঁজে বার করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বোর্ড যা যা নির্দেশ দেবে, তা বিনা প্রশ্নে মেনে নিতে হবে।
আফগানিস্তান বোর্ডের সমালোচনা করেছেন বর্তমান কোচ ট্রট। এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর ট্রট বলেন, “সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হল দলের প্রতি আমার কোনও অধিকার নেই। ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা যায় না। কোচ হিসাবে তো আমার কিছু বলার থাকে। সে সব শোনার কেউ নেই। তা হলে কী ভাবে সাফল্য আসবে?” এই সব কারণেই হয়তো চুক্তি শেষ হওয়ার পর আর থাকবেন না ট্রট। বদলে কে আসবেন, সে দিকেই চোখ সকলের।