বৈভব সূর্যবংশী। —ফাইল চিত্র।
রাজস্থানকে ১ রানে হারাল কলকাতা। প্রথমে ব্যাট করে ২০৬ রান তুলেছিল তারা। সেই রান তাড়া করতে নেমে শেষ বলে ৩ রান দরকার ছিল রাজস্থানের। কিন্তু সেটা পারল না তারা।
প্রথম দু'ওভারে ২৮ রান দিয়েছিলেন হর্ষিত। সেই বোলারই দলকে ম্যাচে ফেরালেন। রিয়ান পরাগ এবং শিমরন হেটমেয়ারকে ফেরালেন তিনিই। সেই সঙ্গে রাজস্থানকেও চাপে ফেলে দিলেন হর্ষিত। সঠিক সময় বাউন্সার দেন হেটমেয়ারকে। সেই বল সামলাতে না পেরে উইকেট দিয়ে দেন হেটমেয়ার। পরাগকে আউট করেন অফ কাটারে।
মইন আলির এক ওভারে ৩২ রান উঠল। সেই ওভারে পাঁচটি ছক্কা মারেন রিয়ান পরাগ। পরের ওভারের প্রথম বলে হেটমেয়ার এক রান নেন। পরাগ আবার ছক্কা মারেন বরুণকে। নিজের খেলা পর পর ৬ বলে ছয় ছক্কা মারেন পরাগ।
এক ওভারে দু’টি উইকেট তুলে কলকাতাকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেন বরুণ। বৈভব আউট হওয়ার পর যশস্বী দলকে ভরসা দিচ্ছিলেন। তাঁকে আউট করেন মইন আলি। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই এক ওভারে দু’উইকেট তুলে নেন বরুণ। তাঁর গুগলি বুঝতে পারছেন না ব্যাটারেরা। ধ্রুব জুরেল এবং ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ কোনও রান না করেই আউট হয়ে গেলেন।
শুরুটা ভাল করলেও দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার আগেই আউট যশস্বী। ২১ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। বাঁহাতি যশস্বীই রাজস্থানের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁকে তুলে নিলেন মইন আলি। বড় শট খেলতে গিয়ে রিঙ্কু সিংহের হাতে ক্যাচ দিলেন যশস্বী।
বৈভব যে ম্যাচে শতরান করেছিল, সেই ম্যাচে যশস্বী চেষ্টা করেছিলেন ১৪ বছরের কিশোরকে খেলানোর। নিজে একটা দিক ধরে রেখেছিলেন। রবিবার বৈভব মাত্র ৪ রান করে আউট হয়ে যায়। যশস্বী সঙ্গে সঙ্গে রান তোলার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নেন। ইডেনে যেমন ফিল্ডারদের মাঝে ফাঁক খুঁজে নিলেন, তেমনই ছক্কা হাঁকালেন হর্ষিতদের বলে।
অনুশীলনে ইঙ্গিত মিলেছিল ঝড়ের। হাত খুলে মারছিল বৈভব সূর্যবংশী। রবিবার কেকেআরের বিরুদ্ধে ২০৭ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলটিই কভার দিয়ে চার মারে সে। দেখে মনে হচ্ছিল, তার দিন হতে চলেছে। কিন্তু পরের বলেই ভুল করল রাজস্থানের ব্যাটার। বৈভব অরোরার বল পুল মারতে গিয়ে ঠিকমতো ব্যাটে লাগাতে পারেনি সে। বল হাওয়ায় ওঠে। পিছন দিকে অনেকটা দৌড়ে ভাল ক্যাচ ধরেন অজিঙ্ক রাহানে। দুই বলে ৪ রান করে আউট হয় বৈভব।
ইডেনে শুরুটা ভাল হয়নি কলকাতার। রান করতে পারছিলেন না নারাইনেরা। কিন্তু রাসেলের ব্যাটে শেষটা ভাল হল। ২৫ বলে ৫৭ রান করেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। রিঙ্কু সিংহ ৬ বলে ১৯ রান করেন। তাঁদের ব্যাটে ভর করেই ২০৬ রান তোলে কলকাতা।
শুরুতে খুব বেশি বড় শট খেলতে পারেননি রাসেল। ক্রিজ়ে থিতু হওয়ার পর হাত খুলতে শুরু করেছেন। একের পর এক ছক্কা মারছেন। থিকসানাকে এক ওভারে তিনটি ছক্কা মারেন রাসেল।
গত ম্যাচে ব্যাটিং করার পর তুলে নেওয়া হয়েছিল বেঙ্কটেশকে। রবিবার তিন উইকেট পড়লেও নামানো হল না। ২৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দিয়ে নিলামে বেঙ্কটেশকে নেওয়া হলেও তিনি এ বারের আইপিএলে ব্যর্থ। ব্যাটে রান নেই তাঁর। দ্রুত রান তোলার জন্য তাই রাহানে আউট হওয়ার পর রাসেলকে নামিয়েছে কলকাতা।
প্রথম ১০ ওভারে কলকাতা নারাইন এবং গুরবাজ়ের উইকেট হারিয়েছে। শুরু থেকেই মন্থর ব্যাটিং করছে কলকাতা। নারাইন আউট হওয়ার পর কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন গুরবাজ়। কিন্তু তিনিও আউট হয়ে যান। রাহানে এবং অঙ্গকৃশ খুব বেশি বড় শট খেলতে পারেননি। ফলে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরেও বড় রান তুলতে পারেনি কলকাতা।
নারাইন আউট হওয়ার পর কলকাতা কে রানে ফেরানোর চেষ্টা করছিলেন গুরবাজ়। ২৫ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। কিন্তু বড় শট খেলতে গিয়েই উইকেট দিয়ে বসলেন। থিকসানার বল মিড উইকেটের উপর দিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ যায় হেটমায়ারের হাতে। শেষ হয়ে যায় গুরবাজ়ের ইনিংস। দ্বিতীয় ধাক্কা কেকেআরের।
নারাইনের উইকেট হারিয়েও রানে ফেরার চেষ্টায় কলকাতা। প্রথম দিকে রান পাচ্ছিল না তারা। নারাইন ৯ বলে ১১ রান করেন। রান পাচ্ছিলেন না গুরবাজ়ও। একটা সময় ৮ বল খেলে মাত্র ৩ রান করেছিলেন তিনি। সেখান থেকে কিছুটা উন্নতি করেছেন। পাওয়ার প্লে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। দলকে দিশা দেখানোর চেষ্টায় রাহানেও।
কোনও ম্যাচেই রান পাচ্ছেন না সুনীল নারাইন। রবিবারও ইডেনে রান পেলেন না তিনি। যুধবীর সিংহের বলে মিডল স্টাম্প ছিটকে গেল তাঁর। আউট হওয়ার আগে একটি ছক্কা এবং একটি চার মারেন নারাইন। ৯ বলে ১১ রানের ইনিংসে বল ফস্কালেন বেশি।
রাজস্থানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে বদল করেছে কেকেআর। কাকে দলে নিল তারা? বাদ পড়লেন কে?
ইডেনে টস জিতল কলকাতা। অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশীর ব্যাটিং শুরুতে দেখা যাবে না। দুপুরের ম্যাচ বলে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাহানে। পরের দিকে শিশির পড়ার ভয় নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy