গুরু-শিষ্য: দীনেশ লাডের সঙ্গে এনিতিনি পুত্র থান্ডো। নিজস্ব চিত্র
রোহিত শর্মা, শার্দূল ঠাকুরদের মতো চরিত্রদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করার পিছনে তাঁর নীরব অবদান কোনওদিন ভোলার নয়। মুম্বইয়ের ক্রিকেট প্রশিক্ষক দীনেশ লাডের কাছেই এখন ক্রিকেট শিখছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার মাখায়া এনতিনির ছেলে থান্ডো। তার জন্য মুম্বইয়ের কোচকেধন্যবাদ দিচ্ছেন মাখায়া।
বুধবার রাতে দীনেশকে একটি ভিডিয়ো পাঠান এনতিনি। সেই ভিডিয়োতে মুম্বইকর ক্রিকেট কোচকে ধন্যবাদ জানিয়ে এনতিনি বলেছেন, ‘‘আমি থান্ডোর বাবা এনতিনি। এত ব্যস্ততার মধ্যেও আমার ছেলেকে ক্রিকেটে দক্ষ করে তুলতে যে সময় দিচ্ছেন, তার জন্য আমি ও পরিবার আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। আশা করি, ওর ব্যাটিং ও বোলিং আগামী দিনে আরও ভাল হবে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘যে ভালবাসা ও বাবার মতো যত্ন নিয়ে আপনি আমার ছেলেকে তৈরি করছেন, তার জন্য আপনাকে সম্মান জানাচ্ছি আরও এক বার। আর এই পুরো কাজই আপনি করছেন নিখরচায়। থান্ডোর বাবা হিসেবে এ জন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। জানি এই সব কাজ আপনি কোচ হিসেবে নয়, ক্রিকেটকে ভালবেসে করেন। কারণ আপনি দেখতে চান, অনামী ছেলেরা আগামী দিনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। মুম্বই গেলে আপনার সঙ্গে দেখা করে কফি খেতে খেতে প্রচুর গল্প করব।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩৯০ টেস্ট উইকেটপ্রাপ্ত বোলার এনতিনির এই বার্তা পেয়ে আবেগাপ্লুত দীনেশ। মুম্বইয়ে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বললেন, ‘‘রায়পুরে লেজেন্ডস লিগ খেলতে এসে রেলে চাকরিরত আমার এক ছাত্রকে এনতিনি একজন ভাল কোচ খুঁজে দিতে বলেছিলেন। তাঁর থেকে আমার কথা শুনে ফোনে কথা বলে এপ্রিলে ছেলেকে মুম্বইয়ে আমার কাছে পাঠিয়ে দেন তিনি। বলেছিলেন ছেলে স্পিন বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভাল খেলবে, তা দেখতে চাই। পেস বোলিং আমি দেখলেও ভারতে স্পিন সহায়ক পিচে ওকে ভাল খেলা রপ্ত করতে হবে। কিন্তু তার পরে যে তিনি আমাকে এ রকম ধন্যবাদ-বার্তা পাঠাবেন, তা ভাবিনি।’’ এনতিনির ছেলে থান্ডো অলরাউন্ডার। বাঁ হাতে ব্যাট ও ডান হাতে পেস বল করে। ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতাতেও খেলেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলেছেন বয়স এখন ২১।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy