আইপিএলে এত মন্থর ইনিংস কখনও খেলেননি ট্রেভিস হেড। বৃহস্পতিবার ওয়াংখেড়েতে দেখা গেল এক অন্য হেডকে। যিনি একের পর এক ক্যাচ দিলেন, ছক্কা মারতে পারলেন না, আবার ক্যাচও ফেললেন।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে সাধারণত বিধ্বংসী ইনিংস খেলতে দেখা যায় হেডকে। ছক্কা মেরে বোলারদের লাইন, লেংথ ঘেঁটে দিতে যিনি পারদর্শী। ভারতীয় সমর্থকেরা তো ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁর ইনিংস এখনও ভুলতে পারেননি। সেই হেডকে শান্ত করে রাখলেন জসপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পাণ্ড্য, ট্রেন্ট বোল্টেরা। পাওয়ার প্লে-তে উইকেট না হারালেও হেড কোনও ছক্কা মারতে পারেননি। যিনি ব্যাট করলে দল ২০ ওভারে ৩০০ রান তোলার স্বপ্ন দেখে, সেই ব্যাটার একটিও ছক্কা মারতে পারবেন না! এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।
বৃহস্পতিবার ২৮ বলে ২৯ রান করে আউট হয়ে যান হেড। উইল জ্যাকসের বলে মিচেল স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তিনি নো বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন। ফ্রি হিটেও ক্যাচ দিয়েছিলেন। পর পর দু’বলে আউট হলেও বেঁচে যান নো বল এবং ফ্রি হিটের কল্যাণে। তার আগে অবশ্য হেডের ক্যাচও ফেলেছিলেন মুম্বইয়ের ফিল্ডারেরা।
আরও পড়ুন:
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে এ দিন হেডের স্ট্রাইক রেট ৯৬.৫৫। আইপিএলে এটাই তাঁর মন্থরতম ইনিংস (যে ইনিংসে অন্তত ২০ রান করেছেন)। টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারে চতুর্থ বার ইনিংসে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১০০-র নীচে রইল (যে ইনিংসে অন্তত ২০ রান করেছেন)।
শুধু ব্যাট হাতে মন্থর ইনিংসই নয়, বৃহস্পতিবার ক্যাচও ফেললেন হেড। মুম্বইয়ের ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল করছিলেন মহম্মদ শামি। ওভারের শেষ বলে জ্যাকস কভারের দিকে মেরেছিলেন। বাঁদিকে সরে গিয়ে ক্যাচ নিতে গিয়েছিলেন হেড। কিন্তু দু’হাত বাড়িয়েও বল ধরতে পারেননি। সেই জ্যাকস মুম্বইয়ের ইনিংস গড়তে সাহায্য করেন। সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে জুটিতে ৫২ রান তোলেন।
শুধু হেড নন, বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের কোনও ব্যাটারই সে ভাবে নজর কাড়তে পারেননি। ওপেনার অভিষেক শর্মা (২৮ বলে ৪০ রান) কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ঈশান কিশন (২) এবং নীতীশ রেড্ডি (১৯) রান পাননি। শেষ দিকে হেইনরিখ ক্লাসেন (২৮ বলে ৩৭ রান) এবং অনিকেত বর্মা (৮ বলে ১৮ রান) কিছুটা লড়াই করার মতো জায়গায় দলকে পৌঁছে দিয়েছিলেন।
হায়দরাবাদের ১৬২ রান তাড়া করতে নেমে সহজেই জয়ের রান তুলে নেয় মুম্বই। রোহিত শর্মা ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসাবে নেমে ১৬ বলে ২৬ রান করেন। তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। ওয়াংখেড়ে তাঁর ঘরের মাঠ। রোহিতের জন্য গোটা মাঠ চিৎকার করছিল। কিন্তু ২৬ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। অন্য ওপেনার রায়ান রিকেলটন ২৩ বলে ৩১ রান করেন। চার নম্বরে নেমে সূর্যকুমার ১৫ বলে ২৬ রান করেন। উইল জ্যাকস ২৬ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়ে যান। প্রত্যেকেই দলকে ভরসা দিয়ে যান। ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বই।