সুদীপ চট্টোপাধ্যায় শতরান পাননি। সুমন্ত গুপ্তও পারলেন না। প্রথম ইনিংসে যতটা প্রত্যাশা করা হয়েছিল তত রান করতে পারল না বাংলা। তৃতীয় দিন পাল্টা লড়াই দিল উত্তরাখণ্ড। তারা এগিয়ে ৫৫ রানে। হাতে এখনও আট উইকেট। ফলে শনিবার চতুর্থ দিনে বোলারেরা কিছু করে দেখাতে না পারলে রঞ্জি ট্রফির শুরুতে ড্র অপেক্ষা করছে বাংলার সামনে।
শুক্রবার ২৭৪ রানে ৬ উইকেট নিয়ে খেলা শুরু করে ৩২৩ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলার প্রথম ইনিংস। সৌজন্যে দেবেন্দ্র সিংহ বোরার দুরন্ত বোলিং। তিনি বাংলার ছ’টি উইকেট নিয়েছেন। প্রথম সেশনে দ্রুত বাংলার দু’টি উইকেট ফেলে দেন তিনি। সুমন্ত (৮২) এবং আকাশ দীপকে ফেরান। সুমন্ত ফিরতেই বাংলার ৩৫০ পেরনোর আশা শেষ হয়ে যায়।
জবাবে তৃতীয় দিনের শেষে উত্তরাখণ্ডের ব্যাটারেরা লড়াই করছেন। ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ তুলেছে তারা। আকাশদীপের বলে ওপেনার অবনীশ সুধা (১) ফিরলেও অভিজ্ঞ প্রশান্ত চোপড়া (৮২) এবং অধিনায়ক কুণাল চান্ডেলা (অপরাজিত ৬৮) দ্বিতীয় উইকেটে ১৪৬ রান যোগ করেন। মহম্মদ শামি-সহ বাংলার বোলারেরা কিছুই করতে পারেননি।
আরও পড়ুন:
পিচ থেকেও কিছু পাওয়ার ছিল না বাংলার বোলারদের। প্রশান্ত ১০টি চার মারেন। শেষ সেশনে বিশাল ভাটির বলে আউট হন। শামির বোলিং অবশ্য নিয়ন্ত্রিত ছিল। ১৫ ওভার বল করে ২১ রান দিলেও উইকেট পাননি। প্রথম ইনিংসেও উত্তরাখণ্ডের টপ বা মিডল অর্ডারকে বেগ দিতে পারেননি। একদম শেষের দিকে তিনটি উইকেট পান।
আট উইকেট এবং একটি গোটা দিন হাতে থাকায়, উত্তরাখণ্ড চাইবে দ্বিতীয় ইনিংস যতটা সম্ভব টেনে নিয়ে যেতে। যদি চা-বিরতির কাছাকাছি ইনিংস টেনে দিতে পারে, তা হলে বাংলার ঘরের মাঠে এসে তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নেবে তারা।