ইডেন গার্ডেন্সে পেসারেরা সাহায্য পেলেও শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শুরুর দিকে তিনি সাফল্য পাননি। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর দু’টি উইকেট তুলে নেন। প্রথম দিনের খেলা শেষে সেই মহম্মদ সিরাজ জানালেন, জসপ্রীত বুমরাহের পরামর্শেই সাফল্য পেয়েছেন। এ দিকে, দিনভর চর্চা চলল সিরাজের ছেঁড়া জুতো নিয়ে।
শুক্রবার সিরাজ বলেন, “উইকেটের একটা প্রান্তে ব্যাট করা সহজ। অপর প্রান্তে বাউন্সের বৈচিত্র রয়েছে। ফলে রান করা সহজ নয়। জস্সি ভাই আমাকে বলল, স্টাম্প লক্ষ্য করে বল করলে উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। বলের লাইন ঠিক থাকলে এলবিডব্লিউ, বোল্ড বা ক্যাচও উঠতে পারে। আমি সেটাই করেছি।”
সিরাজের মতে, বলের চরিত্র বদলে যাওয়ার পর থেকে সাফল্য পেতে শুরু করেছেন তাঁরা। না হলে শুরুর দিকে বেশ সমস্যাই হচ্ছিল। সিরাজের কথায়, “নতুন বল ব্যাটে বেশ ভাল ভাবে আসছিল। কিন্তু বল নরম হয়ে যাওয়ার পর নিচু বাউন্স হচ্ছিল। আমি চাইছিলাম ফুল লেংথে স্টাম্প লক্ষ্য করে বল করতে। কিছু কিছু বলে রিভার্স সুইংও পাওয়া যাচ্ছিল। তাই স্টাম্প লক্ষ্য করে বল করলে উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল।”
প্রথম দিনে মাত্র একটিই উইকেট পড়েছে ভারতের। সিরাজের ধারণা, তাঁরা ভাল জায়গায় আছেন। বলেছেন, “একটাই উইকেট হারিয়েছি আমরা। মার্করাম এবং রিকেলটন শুরুটা ভাল করলেও আমরা দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরেছি। আপাতত ওদের থেকে খানিকটা এগিয়েই আছি।”
আরও পড়ুন:
এ দিন সিরাজ বল করার সময় দেখা যায়, তাঁর বাঁ পায়ের জুতোর বুড়ো আঙুলের সামনের অংশটি ছেঁড়া। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। তবে ইচ্ছা করেই সেই কাজ করেছেন সিরাজ। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জোরে বোলারেরা দৌড়তে দৌড়তে লাফিয়ে উঠে হঠাৎ করে যে হেতু থেমে যান, তাই সামনের পায়ের উপরে চাপ পড়ে। বিশেষ করে গোড়ালির উপরে। বার বার এমন হলে আঙুলের নখ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং চোট লাগতে পারে। তাই জুতোর সামনের অংশ ছিঁড়ে রাখলে আঙুলের উপর চাপ পড়ে না। সিরাজও সেই কাজ করেছেন।