শার্দূল ঠাকুর। ছবি: বিসিসিআই।
তামিলনাড়ুকে ইনিংস এবং ৭০ রানে হারিয়ে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে উঠল মুম্বই। পাঁচ দিনের ম্যাচ তিন দিনেই ম্যাচ জিতে নিলেন অজিঙ্ক রাহানেরা। প্রথম ইনিংসে তামিলনাড়ু করে ১৪৬ রান। জবাবে রাহানের দল তোলে ৩৭৮ রান। এর পর সাই কিশোরদের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হল ১৬২ রানে। মুম্বইয়ের জয়ের অন্যতম কারিগর শার্দূল ঠাকুর।
রবিবার খেলা শেষ হওয়ার সময় মুম্বইয়ের রান ছিল ৯ উইকেটে ৩৫৩। দশম উইকেট মুম্বইয়ের দুই ব্যাটার তানুশ কোটিয়ান এবং তুষার দেশপাণ্ডে যোগ করেন ৮৮ রান। ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামা তানুশ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮৯ রান। ১২টি চার মেরেছেন তিনি। তুষার করেন ২৬ রান।
২৩২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে তামিলনাড়ু। ম্যাচ বাঁচানোর জন্য একাধিক বড় রানের জুটি প্রয়োজন ছিল তাদের। কিন্তু মুম্বইয়ের বোলিং আক্রমণের সামনে প্রথম ইনিংসের মতোই ভেঙে পড়ল তাদের ব্যাটিং লাইন আপ। বাবা ইন্দ্রজিৎ ছাড়া তামিলনাড়ুর কোনও ব্যাটারই ২২ গজে বেশি ক্ষণ থাকতে পারেননি। চার নম্বরে নেমে তিনি খেলেন ৭০ রানের ইনিংস। তার আগেই ১০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তামিলনাড়ু। সেই চাপ সামলাতে না পারাতেই রঞ্জি সেমিফাইনালে ভরাডুবি হল তাদের। চতুর্থ উইকেটে প্রদোষ রঞ্জন পাল এবং পঞ্চম উইকেটে বিজয় শঙ্কর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন ইন্দ্রজিতের সঙ্গে জুটি বেঁধে। চতুর্থ উইকেটে ইন্দ্রজিৎ-প্রদোষ জুটি যোগ করে ৭৩ রান। প্রদোষ করেন ২৫। পঞ্চম উইকেটে ইন্দ্রজিৎ-বিজয় জুটি যোগ করে ৩৮ রান। বিজয়ের অবদান ২৪। ছ’নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক কিশোর করেন ২১। তামিলনাড়ুর আর কোনও ব্যাটার দু’অঙ্কের রান করতে পারেননি।
তামিলনাড়ুর দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বইয়ের সফলতম বোলার শ্যামস মুলানি ৫৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ১৬ রানে ২ উইকেট শার্দূলের। ১৮ রানে ২ উইকেট নেন তানুশ। এ ছাড়া ২৬ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন মোহিত অবস্থি। মুম্বই-তামিলনাড়ু সেমিফাইনালের সেরা ক্রিকেটার শার্দূলই। ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও ভারতীয় দলের অলরাউন্ডারের ব্যাট হাতে খেলেছেন ১০৫ বলে ১০৯ রান। ১৩টি চার এবং ৪টি ছয়ের সাহায্যে শতরানের ইনিংস খেলেন তিনি। উল্লেখ্য, রঞ্জি ট্রফির সফলতম দল মুম্বই। তারা ৪১ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy