কারিগর: দলের জন্য যে কোনও দায়িত্ব পালনে তৈরি রিজ়ওয়ান।
৭ অক্টোবর: মহম্মদ রিজ়ওয়ান যদি নাটকে অভিনয় করতেন, যে কোনও প্রেক্ষাগৃহের শেষ আসনে বসেও স্পষ্ট শোনা যেত তাঁর কণ্ঠস্বর। কোনও মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখলেও লাগবে না কোনও মাইক। তিনি যখন কথা বলেন, সব শব্দ যেন মিলিয়ে যায়। মাঠে যে রকম সক্রিয়, ঠিক ততটা উত্তেজিত মাঠের বাইরেও।
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৮১ রানে জিতে মিক্সড জ়োনে এসে শুক্রবার প্রত্যেক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বললেন রিজ়ওয়ান। এতটাই জোরে কথা বলেন যে, কেউ কেউ ফোনে রেকর্ডিং অন করেও দু’ধাপ পিছিয়ে এলেন। রিজ়ওয়ান তা বুঝেই হেসে ফেলেন।
বাবর ও রিজ়ওয়ানের ভক্ত ছেয়ে আছে হায়দরাবাদে। শুক্রবার তাঁর একটার পর একটা স্ট্রেট ড্রাইভ যেন তুলির টানের মতো ফুটে উঠছিল ক্যানভাসে। অভ্যর্থনায় ভরিয়ে দিচ্ছিলেন দর্শকেরা। হাত নাড়িয়ে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি রিজ়ওয়ান। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্বকাপ খেলতে আসার আগে আমাদের অগ্রজ ক্রিকেটারদের থেকে শুনেছিলাম, ভারতের মাটিতে নাকি অনেক সমর্থন পাওয়া যায়। কোনও ধারণাই ছিল না, এই দেশের সকলে আমাদের এতটা আপন করে নেবেন। হায়দরাবাদে খেলে মনে হচ্ছিল যেন ঘরের মাঠেই খেলছি। বিশ্বাস করুন, কোনও পার্থক্য খুঁজে পাইনি।’’
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতীয় পরিবেশের খুব একটা তফাত নেই। কিন্তু রিজ়ওয়ান মনে করেন, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন পরিবেশের উইকেটে খেলতে হয়। এমনকি ম্যাচের মধ্যেও বদলে যায় পিচ। বল হয়তো হঠাৎ ঘুরতে শুরু করে। কখনও বল থমকে ব্যাটে আসে। কোনওটা আবার বেশি বাউন্স করে। ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে দ্রুত রান করা তো সম্ভব নয়-ই, এমনকি ক্রিজ়ে টিকে থাকাও কঠিন। কিন্তু রিজ়ওয়ান এমন এক প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের পরামর্শ নিয়ে এসেছেন, যিনি বরাবরই ভারতের মাটিতে সফল। তিনি প্রাক্তন তারকা সইদ আনোয়ার।
রিজ়ওয়ান ফাঁস করলেন, ‘‘ভারতের আসার আগে সইদ আনোয়ারের সঙ্গে অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করেছি। তিনিই আমাকে বুঝিয়েছেন, ভারতের পিচের চরিত্র ক্রমাগত পরিবর্তন হতে থাকে। রান অবশ্যই ওঠে। কিন্তু পেস বোলার ও স্পিনাররাও যথেষ্ট সাহায্য পায় উইকেট থেকে। ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ প্রস্তুতি ম্যাচে বল প্রচুর সুইং করেছে। হ্যারিস রউফের বলও পিচ থেকে নড়াচড়া করছিল। প্রত্যেকটি পরিবেশের জন্য তৈরি থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সইদ ভাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy