অধিনায়ক মহম্মদ রিজ়ওয়ান ও সলমান আলি আঘার জোড়া শতরানের সাহায্যে এক দিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের নজির গড়ল পাকিস্তান। বুধবার করাচিতে দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়ামে ৩৫৩ রান তাড়া করে জেতে পাকিস্তান। পাশাপাশি চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজ়ের ফাইনালেও উঠে গেল তারা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ছয় উইকেটে হারিয়ে।
আগের ম্যাচে নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে গদ্দাফি স্টেডিয়ামে ৭৮ রানে হেরেছিলেন রিজ়ওয়ানরা। সেই ধাক্কা সামলে শুধু ঘুরে দাঁড়ানোই নয়, সলমান (১৩৪) ও রিজ়ওয়ান (অপরাজিত ১২২) জুটিতে ২৬০ রান তুলে দেন। রান তাড়া করতে নেমে তাঁদের সর্বাধিক রানের জুটি। ভেঙে দেন ইমরান ফারহাত ও মহম্মদ হাফিজ়-এর ২০১১ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে অপরাজিত ২২৮ রানের জুটি। পাশাপাশি পাকিস্তানের এর আগে সর্বাধিক রান তাড়া করে জেতার নজির ছিল ২০২২ সালে লাহোরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। সে বার ৩৪৯ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা।
তবে ম্যাচে তুমুল উত্তেজনা দেখা যায় এক সময়। এমনিতেই এই ম্যাচ ঘিরে মারাত্মক চাপ ছিল পাকিস্তানের। ত্রিদেশীয় সিরিজ়ের ফাইনালে উঠতে জিততেই হত রিজ়ওয়ানদের। হয়তো সে জন্যই মেজাজ হারান শাহিন আফ্রিদি। দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাথিউ ব্রিৎজ়কের সঙ্গে তাঁর কথাকাটাকাটি হয়। এমনকি ধাক্কাধাক্কিও।
ঝামেলার শুরু ২৮তম ওভারে। শাহিনের শেষ দুটি বল খেলছিলেন ব্রিৎজ়কে। পঞ্চম বলটা অন সাইডে রক্ষণাত্মক শট মারেন। তার পরেই লাফিয়ে উঠে বোঝাতে থাকেন মারার মতো বল ছিল সেটা। তাতেই রেগে যান শাহিন। দাঁড়িয়ে পড়ে ব্যাটসম্যানের দিকে এগিয়ে যান। দু'জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। টেম্বা বাভুমা, রিজ়ওয়ান পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ওই ওভারের শেষ বল অন-সাইডে খেলে এক রান নিতে দৌড়ন ব্রিৎজ়কে। তিনি যখন দৌড়াচ্ছিলেন, মাঝপথেই দাঁড়িয়ে পড়েন শাহিন। সেইসময় দু'জনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। আসলে দৌড়নোর পথে চলে আসেন শাহিন। শেষমুহূর্তে সেটা বুঝে কিছুটা সরে যান ব্রিৎজ়কে। তার পরেও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)