বাবরদের ঠেকানোর চেষ্টা। ফাইল ছবি
পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা যাতে বিদেশের কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে না খেলতে যান, তার জন্য বাড়তি টাকার লোভ দেখাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কোনও ক্রিকেটার যদি আইপিএলে খেলার সুযোগ পেলেও প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন, তা হলে বোর্ডের থেকে বাড়তি টাকা পেতে পারেন। পিসিবি-র সাম্প্রতিক ঘোষণায় এমনই বলা হয়েছে।
শুক্রবার লাহৌরে এক সাংবাদিক বৈঠকে বোর্ডের চেয়ারম্যান রামিজ রাজা জানিয়েছেন, বিদেশি লিগে খেলার প্রস্তাব যে সব ক্রিকেটার ফিরিয়ে দেবেন, তাঁদের জন্য বিশেষ তহবিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “দেশের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা যাতে জাতীয় দলের খেলা না থাকার সময় বিদেশি লিগে সই না করে, সে কথা ওদের বলব। ক্রিকেটাররা বিদেশি লিগে সই না করলেই সবচেয়ে ভাল। সে ক্ষেত্রে ওরা যখনই চাইবে, তখনই চুক্তির ৫০-৬০ শতাংশ টাকা আমরা দিয়ে দেব। আমাদের জন্যে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ মরসুম। চাই না কোনও ক্রিকেটার ক্লান্ত হয়ে পড়ুক। জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় ওরা যাতে তরতাজা থাকে, সেটা দেখাই আমাদের দায়িত্ব।”
রামিজ জানিয়েছেন, খেলাধুলোর জন্য এ বার পাকিস্তানের বার্ষিক বাজেটে ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ৭৮ শতাংশই খরচ হবে ক্রিকেটের পিছনে। মূল লক্ষ্য অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বেতনের ফারাক কমানো। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারের সংখ্যা ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩৩ করা হয়েছে। প্রত্যাশামতোই লাল এবং সাদা বলের জন্য আলাদা চুক্তির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সব ফরম্যাটে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। অধিনায়কের বাড়তি দায়িত্ব থাকে বলে তাঁর জন্য আলাদা ভাতা বরাদ্দ করা হয়েছে। মহিলা দলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও ভাতা ১৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
কেন দু’টি ফরম্যাটের জন্য আলাদা চুক্তি করা হল সে প্রসঙ্গে রামিজ বলেছেন, “আগামী ১৬ মাসে দু’টি বিশ্বকাপ-সহ চারটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা রয়েছে। সাদা বলের ক্রিকেটারদের জন্যে আলাদা চুক্তির সাহায্যে দু’টি বিভাগের দলই শক্তিশালী করে তুলতে চাই। তা হলে একইসঙ্গে দু’টি ফরম্যাটে দল নামাতে পারব আমরা।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy