খারাপ সময়েও বোর্ডের কথা মানতে নারাজ পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লাগাতার ব্যর্থ পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এক দিনের ক্রিকেট হোক নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০, জয় কিছুতেই আসছে না। তার পরেও বোর্ডের নির্দেশ মানতে চাইছেন না ক্রিকেটারেরা। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবেন না বলে জানিয়েছেন মহম্মদ রিজ়ওয়ান।
পাকিস্তানের এক দিনের দলের অধিনায়ক হওয়ার পর এই রিজ়ওয়ানই জানিয়েছিলেন, যখন দেশের হয়ে খেলা থাকবে না, তখন সব ক্রিকেটারের উচিত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা। অথচ সেই তিনিই খেলছেন না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দল থেকে রিজ়ওয়ানকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সামনে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ় তিনি খেলবেন।
মাঝের সময়ে পাকিস্তানে ন্যাশনাল টি২০ চ্যাম্পিয়নশিপ চলছে। কিন্তু সেখানে খেলছেন না রিজ়ওয়ান। বদলে পেশোয়ারে একটি ক্লাবের হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই খবর প্রকাশের পর পাকিস্তানের সিনিয়র ক্রিকেটারদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকে বলছেন, অধিনায়কই যদি বোর্ডের কথা না শোনেন, তা হলে বাকিরা কেন শুনবেন।
পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দল থেকে রিজ়ওয়ান ছাড়া বাবর আজ়ম ও নাসিম শাহকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁরাও ন্যাশনাল টি২০ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলছেন না। অর্থাৎ, পাকিস্তানের সবচেয়ে সিনিয়র দুই ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে চাইছেন না। এটি পাকিস্তানের ক্রিকেটের জন্য ভাল বিজ্ঞাপন নয়।
আরও পড়ুন:
বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির পর ভারতীয় ক্রিকেটারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, ফাঁকা সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে। এ বার রঞ্জি ট্রফিতে একটি ম্যাচের জন্য হলেও বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের দেখা গিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান রয়েছে পাকিস্তানেই। সেখানে কোনও বদল হচ্ছে না।
২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে এক দিনের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। এ বার দেশের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে প্রথম দল হিসাবে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। বাবর, রিজ়ওয়ানদের সমালোচনা হচ্ছে দেশেই। প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দিয়েছেন বাবরদের। বোর্ড জানিয়েছে, এ বার বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ তারা নেবে। কিন্তু বোর্ডের নির্দেশ যে রিজ়ওয়ানেরা পাত্তা দিচ্ছেন না তা এই ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে। লাগাতার ব্যর্থতার পরেও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে চাইছেন না তাঁরা।