ভারতীয় দলে চমকের পর চমক। এত দিন ধরে যা জল্পনা চলছিল তার মধ্যে অনেক কিছুই মিলল না। মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর যখন এশিয়া কাপের জন্য ভারতের ১৫ জনের দল ঘোষণা করলেন তখন সেখানে যশস্বী জয়সওয়াল, শ্রেয়স আয়ারের নাম শোনা গেল না। শুভমন গিল, রিঙ্কু সিংহের উপর আস্থা রাখলেন নির্বাচকেরা। এই ১৫ জনের দলের মধ্যে কোন ১১ জন খেলবেন এশিয়া কাপে? তা-ও অনেকটাই বুঝিয়ে দিলেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ও নির্বাচক প্রধান আগরকর।
শুভমনকে কেন নেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন আগরকর। তিনি বলেন, “ও আমাদের সব প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে। শুভমন টি২০ দলে নিয়মিত ছিল। কিন্তু মাঝে টেস্টের দিকে মন দিতে গিয়ে কয়েকটা সিরিজ় খেলেনি। ওকে আবার ফেরানো হয়েছে।”
শুধু ফেরানো নয়, শুভমনকে সহ-অধিনায়কও করা হয়েছে। সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন সূর্য। তিনি বলেন, “বিশ্বকাপের পর দলের সহ-অধিনায়ক ছিল শুভমন। মাঝে কয়েকটা সিরিজ় খেলেনি। তখন অক্ষর পটেলকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। শুভমন আবার ফিরেছে। তাই ওকে আবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
শুভমন অবশ্য ওপেন করবেন কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছেন আগরকর। তিনি বলেন, “সঞ্জু ও শুভমনের বিকল্প আমাদের কাছে আছে। ওখানে গিয়ে পরিস্থিতি ও প্রতিপক্ষ দেখে ঠিক হবে, কে ওপেন করবে।” তবে অভিষেক শর্মা যে ওপেন করবেন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আগরকরের কথা থেকে মনে হচ্ছে, সঞ্জু ওপেন করলে শুভমন হয়তো তিন নম্বরে খেলবেন। সে ক্ষেত্রে সূর্য ও তিলক বর্মা নীচে নামবেন। আর শুভমন ওপেন করলে সঞ্জুকে মিডল অর্ডারে খেলতে হবে। জিতেশ শর্মাকে যে বিকল্প হিসাবে নেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন আগরকর।
জিতেশের মতো রিঙ্কুরও প্রথম একাদশে খেলার সম্ভাবনা প্রায় নেই। আগরকর বলেন, “রিঙ্কুকে অতিরিক্ত ব্যাটার হিসাবে আমরা নিয়ে যাচ্ছি। দরকার পড়লে বা কেউ চোট পেলে ওকে খেলানো হবে।” এই কথা থেকে স্পষ্ট, প্রথম একাদশের বাইরেই থাকতে হবে কেকেআরের ক্রিকেটারকে।
আরও পড়ুন:
দু’জন পেসার অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ড্য ও শিবম দুবের পাশাপাশি এক জন স্পিনার অলরাউন্ডার অক্ষরকে নেওয়া হয়েছে। এই তিন জনই প্রথম একাদশে খেলবেন। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসাবে বরুণ চক্রবর্তী ও বিশেষজ্ঞ পেসার হিসাবে জসপ্রীত বুমরাহ ও অর্শদীপ সিংহের খেলার সম্ভাবনা বেশি।
ভারতের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ— অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যামসন, শুভমন গিল, সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা, হার্দিক পাণ্ড্য, শিবম দুবে, অক্ষর পটেল, বরুণ চক্রবর্তী, জসপ্রীত বুমরাহ, অর্শদীপ সিংহ।