একটা উইকেট পরিচিতি দিয়েছে তাঁকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে আলোচনা চলছে হিমাংশু সাঙ্গোয়ানকে নিয়ে। ১৩ বছর পরে রঞ্জিতে ফেরা বিরাট কোহলিকে মাত্র ৬ রানের মাথায় আউট করেছেন রেলওয়েজ়ের পেসার হিমাংশু। কোহলির বিরুদ্ধে কী পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি? নিজেই জানিয়েছেন হিমাংশু।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন কোহলি যখন ব্যাট করতে নামছেন তখন দর্শকদের উন্মাদনা ছিল দেখার মতো। রঞ্জি দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন দর্শকেরা। কিন্তু মাত্র ২১ মিনিট ক্রিজ়ে ছিলেন কোহলি। হিমাংশুকে একটি চার মারলেও তাঁর বলেই কোহলির অফস্টাম্প ছিটকে যায়। ১৫ বল খেলে ৬ রান করে আউট হন তিনি। কোহলি আউট হওয়ার পরে দেখা যায়, মাঠ থেকে দর্শকেরা বার হতে শুরু করেছেন।
কোহলি যে তাঁর জীবনের সেরা উইকেট তা স্বীকার করে নিয়েছেন হিমাংশু। তিনি বলেন, “আমার কেরিয়ারের সেরা উইকেট। আমি ভাগ্যবান যে কোহলির সঙ্গে খেলতে পেরেছি। ওকে আউট করতে পেরেছি।” তবে কোহলির জন্য আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা করেননি হিমাংশু। দিল্লির সকলের জন্য একই পরিকল্পনা ছিল তাঁর। নিজের শক্তি অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করেছিলেন। হিমাংশু বলেন, “আমি কোহলির জন্য আলাদা করে পরিকল্পনা করিনি। দিল্লির সব ব্যাটারই আক্রমণাত্মক। শট খেলতে ওরা ভয় পায় না। তাই আমি ঠিক করেছিলাম, উইকেটে ঠিক জায়গায় বল রাখব। ওরা আক্রমণ করুক। তা হলে নিজেরাই উইকেট দিয়ে আসবে।” কোহলিও সেই শট মারতে গিয়েই বোল্ড হয়েছেন। হিমাংশুর পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
২০১৩ সালে দিল্লির হয়েই অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট শুরু হিমাংশুর। তার পরে রাজধানীর ক্রিকেটে বেশি সুযোগ না পেয়ে হরিয়ানায় ফিরে যান তিনি। তবে আবার দিল্লি ফিরতে হয় তাঁকে। ২০১৯ সালে তাঁকে সুযোগ দেয় রেলওয়েজ়। তার পরে এই দলের হয়েই খেলছেন তিনি। দিল্লির বিরুদ্ধে কি নিজেকে প্রমাণ করার জন্য নেমেছিলেন হিমাংশু। ডানহাতি পেসার বলেন, “যখন কেউ পাশে ছিল না, তখন রেলওয়েজ় আমাকে সাহায্য করেছিল। তাই আমি শুধু এই দলের কথা ভাবি। কে সুযোগ দিল, কে দিল না সে সব ভাবি না। দিল্লির বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণ করার নেই।”
কোহলিকে আউট করে হিমাংশুর উচ্ছ্বাসও ছিল দেখার মতো। সত্যিই তো, এই সুযোগ কি বার বার পাওয়া যায়। তাঁকে ঘিরে দলের সতীর্থরাও উল্লাস করছিলেন। যদিও হিমাংশু জানিয়েছেন, তিনি প্রতিটি উইকেট নেওয়ার পরেই একই ভাবে উল্লাস করেন। কারণ, প্রতিটি উইকেট তাঁর কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ।