Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Ranji Trophy 2022-23

ঘরের ইডেনে সবুজ পিচই এখন বাংলার চিন্তার কারণ, ম্যাচ শুরুর ৩০ মিনিটেই আউট ৪ ব্যাটার

রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে শুরুটা ভাল হল না বাংলার। ইডেনের পিচে টস জিতলে যে কোনও দলই বল করার সিদ্ধান্ত নিত। সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক উনাদকটও তাই করেছেন। সেটাই চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলার।

Eden Gardens

ইডেনের পিচই এখন চিন্তার কারণ হয়ে গিয়েছে বাংলার জন্য। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:০৪
Share: Save:

রঞ্জি ফাইনাল ইডেনে। বাংলার ঘরের মাঠ। বাড়তি সুবিধা পাওয়ার সুযোগ ছিল মনোজ তিওয়ারিদের। কিন্তু ম্যাচ শুরুর প্রথম ঘণ্টাই ভয় ধরিয়ে দিয়েছে ইডেনে খেলা দেখতে আসা বাংলার সমর্থকদের মনে। বাংলার ৫ ব্যাটার আউট হয়ে যান এক ঘণ্টার মধ্যেই। ইডেনের সবুজ পিচে সৌরাষ্ট্রের পেসারদের সুইং সামলাতে ব্যর্থ মনোজরা।

ইডেনের আউট ফিল্ড এবং পিচের মধ্যে তফাত করাই মুশকিল হয়ে গিয়েছে। পিচ এতটাই সবুজ যে, ভারতে সফররত অস্ট্রেলিয়া দলের ক্রিকেটাররা এই ম্যাচ দেখলে অবশ্যই ইডেনের পিচে খেলতে দেওয়ার দাবি জানাতেন। এমন পিচে যে কোনও অধিনায়কই টস জিতলে বল করতেন। ভারতীয় দল থেকে ছুটি নিয়ে রঞ্জি ফাইনাল খেলতে আসা জয়দেব উনাদকট অন্যথা করেননি। তিনি টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন এবং প্রথম ওভারেই অভিমন্যু ঈশ্বরনের উইকেট নিয়ে চাপে ফেলে দেন বাংলাকে।

বুধবার বাংলার অধিনায়ক মনোজ একটি টুইট করেছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, “আমরা ভাগ্যবান যে ঘরের ইডেনে রঞ্জি ফাইনাল খেলার সুযোগ পেয়েছি। আমরা চাই আপনারা মাঠে আসুন। বাংলা দল ১০০ শতাংসের বেশি দেবে আপনাদের মুখে হাসি ফোটাতে। আপনাদের দর্শক আসনে দেখতে চাই।” মনোজের ডাক ফেরাননি সমর্থকরা। বি, সি, কে এবং এল ব্লক খুলে দেওয়া হয়েছিল সিএবি-র পক্ষ থেকে। মাঠে বেশ কিছু দর্শকও আসেন বৃহস্পতিবার সকালে। কেউ ভারতের জার্সি পরে চলে এসেছেন, কারও হাতে ‘জয় বাংলা’ লেখা পোস্টার। কিন্তু তাঁদের মুখে হাসি বেশি ক্ষণ দেখা গেল না। প্রথম ওভারেই অভিমন্যু ঈশ্বরন আউট হতে দমে যান তাঁরা।

Eden Gardens

ইডেনে খেলতে নেমেছে বাংলা এবং সৌরাষ্ট্র। —নিজস্ব চিত্র

সবুজ পিচে বাংলার পেসারদের দাপট দেখা যাবে কি না সেটা পরের কথা, বাংলার ব্যাটারদের আউট হওয়ার ধরন ফাইনালের শুরুর ঘণ্টাতেই চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। সবুজ পিচে উনাদকট, চেতন সাকারিয়া, চিরাগ জানিরা আগুন ঝরাতে শুরু করেন। তাঁদের বল যে ভাবে সুইং করছিল তা সামলাতেই পারলেন না অভিমন্যুরা। বাংলার অভিজ্ঞ ওপেনারের ব্যাটে লেগে, প্যাডে ক্যাচ যায় শর্ট লেগে। প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলা। দ্বিতীয় ওভারে জোড়া ঝটকা। সাকারিয়া তুলে নেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা ওপেনার সুমন্ত গুপ্তকে। ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড হয়ে যান সুদীপ ঘরামি। এ বারের রঞ্জিতে ছন্দে থাকা দুই ব্যাটারকে প্রথম দু’ওভারে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লের মুখের হাসিয়ে মিলিয়ে গিয়েছে তত ক্ষণে।

দু’ওভারে ৩ উইকেট হারানো বাংলা তাকিয়ে ছিল অধিনায়ক মনোজ এবং অভিজ্ঞ অনুষ্টুপের দিকে। কিন্তু মনোজ ৭ রানে এবং অনুষ্টুপ ১৬ রানে আউট হয়ে যান। মনোজকে প্রথমে ওভার দ্য উইকেট বল করছিলেন উনাদকট। কিন্তু হঠাৎ রাউন্ড দ্য উইকেট আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রথম বলটাই করেন অফ স্টাম্পের বাইরে। তাতে ব্যাট ছুঁইয়ে দেন মনোজ। স্লিপে বিশ্বরাজ জাডেজার হাতে ধরা পড়ে যান বাংলার অধিনায়ক। অনুষ্টুপও বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৬ রানের মধ্যে তিনটি চার মারেন তিনি। কিন্তু প্রয়োজন ছিল ক্রিজে থাকার, সেটাই পারলেন না অনুষ্টুপ। এক ঘণ্টার মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে রঞ্জি ফাইনালের শুরুতেই চাপে পড়ে যায় বাংলা। যে পিচে সুবিধা নেওয়ার কথা ছিল মনোজদের, সেই পিচই চিন্তার কারণ হয়ে যায় দিনের শুরুতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE