এক দিনের ক্রিকেটে আগ্রাসী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য সাম্প্রতিক কালে অনেক সাফল্য পেয়েছে ভারত। এই সাফল্যের নেপথ্যে রোহিত শর্মা এবং রাহুল দ্রাবিড়কেই কাণ্ডারি হিসাবে বাছলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। গৌতম গম্ভীরের কথা মুখেও আনলেন না। উল্টে তাঁর দল নির্বাচন নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি।
অশ্বিন জানিয়েছেন, রোহিত-রাহুল জুটি শুধু আগ্রাসী ক্রিকেটই আনেননি, সামনে থেকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেছেন, “রোহিত এমন একজন নেতা ছিল, যে নিজের উদাহরণ দেখিয়ে দলকে বুঝিয়ে দিত ও কী চাইছে। টি-টোয়েন্টি থেকে এক দিনের ক্রিকেটে যে রূপান্তর ঘটেছে, যে ভাবে আমরা দ্রুতগতিতে ব্যাট করছি, তার কৃতিত্ব প্রাপ্য রোহিত এবং রাহুল ভাইয়ের।”
অশ্বিন যোগ করেছেন, “ওরাই পথ দেখিয়েছে। রাহুল ভাই বলেছেন কী ভাবে আমাদের খেলতে হবে। রোহিত সেটাকেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ভারত আগে ব্যাটিংকে যে চোখে দেখত, তা আমূল বদলে গিয়েছে। সাদা বলের ক্রিকেটে স্ট্রাইক রেটই আসল।”
আইসিসি প্রতিযোগিতায় টানা হতাশার পর রোহিত-রাহুল জুটিতে ভারতের খেলার ধরন বদলে যায়। তা ২০২৩ বিশ্বকাপে দেখা গিয়েছে। ফাইনালে হারলেও বিশ্বকাপ জুড়ে ভারতের খেলা মন জয় করেছে। এর পর ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরও দাপিয়ে খেলে ট্রফি জিতেছে ভারত।
অশ্বিন কথা বলেছেন রোহিত এবং বিরাট কোহলির একটি ফরম্যাটে খেলা নিয়েও। অনুরোধ করেছেন, দুই তারকার বেঁচে থাকা সময়টুকু উপভোগ করার। অশ্বিনের কথায়, “বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার ব্যাটিং যতটা পারেন দেখে নিন। ওদের কেরিয়ার শেষ হয়ে গেলে আক্ষেপ করতে হবে। তখন আপনারাই বলবেন, ‘কী দুর্দান্ত ক্রিকেটার ছিল। ওদের আবার ফিরিয়ে আনো’। সেটা মোটেই ঠিক নয়।”
অশ্বিনের সংযোজন, “যত দিন ওরা খেলতে চায় তত দিন আনন্দ করতে দিন। সময় কারও জন্য থেমে থাকে না। তাই এখন ওদের উপভোগ করতে দেওয়াই ভাল।”
আরও পড়ুন:
এক দিনের সিরিজ়ে কেন নীতীশ রেড্ডিকে খেলানো হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অশ্বিন। বলেছেন, “যে দলে হার্দিক পাণ্ড্য নেই সেখানে যদি নীতীশের জন্য জায়গা খুঁজে না পাওয়া যায়, তা হলে দল নির্বাচনে নিশ্চিত ভাবেই কোনও গলদ রয়েছে। ওকে নেওয়া হল কেন? কারণ হার্দিক যা পারে ও সেটাই পারে। সময়ের সঙ্গে উন্নতি করবে। এ বার প্রথম একাদশেই যদি জায়গা দিতে না পারেন, তা হলে দলে নিলেন কেন?”