আইপিএলে রেকর্ড করেছেন শ্রেয়স আয়ার। দিল্লি, কলকাতার পর পঞ্জাবকে প্লে-অফে তুলেছেন তিনি। আর কোনও অধিনায়ক তিনটে আলাদা দলকে আইপিএলের প্লে-অফে তুলতে পারেননি। গত বার কলকাতা নাইট রাইডার্সকে চ্যাম্পিয়ন করলেও শ্রেয়সকে ধরে রাখেনি তারা। এ বার পঞ্জাবের অধিনায়ক হিসাবেও সফল তিনি। শ্রেয়সের পাশে দাঁড়িয়ে কেকেআরকে নিশানা করেছেন রবিন উথাপ্পা।
গত বার কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করার পর এ বার যে টাকা শ্রেয়স চেয়েছিলেন তা দিতে রাজি হয়নি কলকাতা। সেই কারণে নিলামে ওঠেন তিনি। উথাপ্পার মতে, কেকেআর কোনও দিনই শ্রেয়সের প্রাপ্য সম্মান তাঁকে দেয়নি। উথাপ্পা বলেন, “শ্রেয়স বরাবরই দুর্দান্ত অধিনায়ক। কেকেআরকে ও যা সাফল্য দিয়েছে তার প্রাপ্য সম্মান ওকে দেওয়া হয়নি। সেই কারণে ও কেকেআর ছেড়েছে। শ্রেয়স একদম ঠিক করেছে। ও এমন একটা দরলে গিয়েছে যারা কোনও দিন আইপিএল জিততে পারেনি। তাদের নিয়েও শ্রেয়স সফল। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে ও কত ভাল অধিনায়ক।”
কেকেআরের আইপিএল ইতিহাসে উথাপ্পা বড় নাম। ২০১৪ সালে কেকেআরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। সে বার ১৬ ম্যাচে ৬৬০ রান করেছিলেন উথাপ্পায় ৪৪ গড় ও ১৩৭.৭৮ স্ট্রাইক রেটে রান করেছিলেন তিনি। পাঁচটা অর্ধশতরান করেছিলেন উথাপ্পা। কমলা টুপি জিতেছিলেন তিনি। কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করা সেই উথাপ্পা তাঁর পুরনো দলের ম্যানেজমেন্টের সমালোচনা করলেন।
শ্রেয়সই আইপিএলে প্রথম যিনি অধিনায়ক হিসাবে তিনটি দলকে প্লে-অফে তুলেছেন। ২০১৯ ও ২০২০ সালে তিনি ছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক। দু’বারই প্লে-অফে উঠেছিল দিল্লি। ২০২০ সালে ফাইনালও খেলেছিল তারা। তার পরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক হন শ্রেয়স। গত বার কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
তার পরেও নিলামে শ্রেয়সকে ছেড়ে দেয় কলকাতা। ২৬ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় তাঁকে কেনে প্রীতি জ়িন্টার পঞ্জাব। আবার পুরনো কোচ রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শ্রেয়স। ২০১৯ ও ২০২০ সালে দিল্লিতেও কোচ-অধিনায়ক জুটি ছিলেন তাঁরা। এ বার শ্রেয়স পঞ্জাবকে প্লে-অফে তুলেছেন। পয়েন্ট তালিকায় প্রথম দুই দলের মধ্যে শেষ করবেন তাঁরা। ফলে ফাইনালে ওঠার দুটো সুযোগ পাবেন তাঁরা।
এ বারের আইপিএলে ব্যাট হাতেও ফর্মে রয়েছেন শ্রেয়স। ১৪ ম্যাচে ৫১৪ রান করেছেন তিনি, যা এ বার পঞ্জাবের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বাধিক। পাঁচটা অর্ধশতরান করেছেন পঞ্জাবের অধিনায়ক। সর্বাধিক ৯৭ অপরাজিত। ৫১.৪০ গড় ও ১৭১.৯০ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন তিনি। তাঁর অধীনে এ বার ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছে পঞ্জাব। প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে প্রীতির দল। তেমনটা হলে পর পর দু’বার দু’টি আলাদা দলকে চ্যাম্পিয়ন করার রেকর্ডও গড়বেন শ্রেয়স। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন তিনি।