ঘাড়ে ৩৮২ রানের বোঝা। তবে বিজয় হজারে ট্রফির প্রথম ম্যাচে কোনও সমস্যাই হল না বাংলার কাছে। সেই রান তাড়া করে জিতে গেল তারা। সেটাও কোনও ব্যাটারের শতরান ছাড়াই। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বুধবার বিদর্ভকে হারিয়ে দিল বাংলা।
বাংলার এই জয় রান তাড়া করার নিরিখে তিন নম্বরে থাকবে। এ দিনই কর্নাটক ৪১৩ রান তাড়া করে হারিয়েছে ঝাড়খন্ডকে। সেটিই শীর্ষে। এর পর অন্ধ্রপ্রদেশ। ২০১২-য় গোয়াকে হারিয়েছিল ৩৮৪ রান তাড়া করে। বাংলার ৩৮৩ রান তাড়া করে জয় যুগ্ম ভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
এ দিন টসে জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। লক্ষ্য ছিল শুরুর দিকে পিচের ভেজা ভাব কাজে লাগিয়ে উইকেট তোলা। যশ রাঠোরকে (১১) ফিরিয়েও দেন মহম্মদ শামি। তার পরে আর সাফল্য আসেনি। ওপেনার আমন মোখাড়ে (১১০) এবং ধ্রুব শোরের (১৩৬) জুটি বেসামাল করে দেয় বাংলাকে। দু’জনে দ্বিতীয় উইকেটে ১৯৫ রান যোগ করেন।
তৃতীয় উইকেটে ধ্রুবের সঙ্গে যোগ দেন আর সমর্থ। দু’জনে ৯১ রানের জুটি গড়েন। ধ্রুব ফেরার পর যাঁরাই নেমেছেন তাঁরাই চালিয়ে খেলেছেন। নচিকেত ভুতে ১৬ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলার তিন প্রধান পেসার খেললেও লাভ হয়নি। শামি ১০ ওভারে ৬৫ রানে ২ উইকেট নেন। তবে মুকেশ কুমার (৯ ওভারে ৪৬) এবং আকাশদীপ (৯ ওভারে ৮৬) উইকেট পাননি।
ব্যাট করতে নেমে পাল্টা জবাব দেয় বাংলা। কোনও ক্রিকেটারই বড় রান করেননি। তবে সকলেই অবদান রেখেছেন। ওপেনিং জুটিতেই অভিষেক পোড়েল (৫৬) এবং অভিমন্যু ঈশ্বরণ (৭১) তুলে ফেলেন ১০৩ রান। এর পর সুদীপ ঘরামিও (৬৮) ভাল খেলেন। অনুষ্টুপ মজুমদার (৩৩) এবং সুমন্ত গুপ্ত (১২) খুব বেশি রান পাননি।
আরও পড়ুন:
এর পর দলের হাল ধরেন শাহবাজ় (৭১)। তিনি চালিয়ে খেলতে থাকেন। বাংলাও এগিয়ে যেতে থাকে জয়ের দিকে। লক্ষ্যমাত্রার ১১ রান দূরে আউট হন শাহবাজ়। তবে আকাশদীপ ব্যাট হাতে পুষিয়ে দেন। তিনি ২৪ বলে ৩৮ রান করেন। ২টি চার এবং ২টি ছয় মেরেছেন। আমির গনি অপরাজিত থাকেন ৮ রানে। সাত বল বাকি থাকতে তিন উইকেটে জিতেছে বাংলা।