Advertisement
E-Paper

পুরীতে ছুটি কাটাতে গিয়ে ফেরি দুর্ঘটনায় সস্ত্রীক সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস, তবে তেমন বড় বিপদ হয়নি সৌরভের দাদার

পুরীতে ছুটি কাটাতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদের ফেরি উল্টে যায়। যদিও রক্ষা পেয়েছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৫ ১৩:৫০
cricket

(বাঁ দিক থেকে) স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, অর্পিতা ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

বরাতজোরে বেঁচেছেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী অর্পিতা। পুরীতে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা ও বৌদি। সেখানেই দুর্ঘটনার মুখে পড়েন সস্ত্রীক স্নেহাশিস। যে ফেরিতে তাঁরা ছিলেন তা উল্টে যায়। যদিও রক্ষা পেয়েছেন বাংলার ক্রিকেট সংস্থার (সিএবি) সভাপতি স্নেহাশিস ও তাঁর স্ত্রী। উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের।

এই ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করে স্নেহাশিসের ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি বললেন, “হ্যাঁ, এই রকম একটা ঘটনা ঘটেছিল। তবে বড় বিপদ হয়নি। ওরা ভাল আছে।” পরে সংবাদমাধ্যমে স্নেহাশিস বলেন, “জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। ফেরি উল্টে গিয়েছিল। মৎস্যজীবী ও স্থানীয় মানুষেরা আমাদের বাঁচিয়েছেন। জগন্নাথের কৃপায় দ্বিতীয় জীবন পেলাম।”

দুর্ঘটনার ভিডিয়োয় ধরা পড়েছে, ফেরি উল্টে যাওয়ার পরে সমুদ্রের ধারে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা (লাইফগার্ড) উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন। জানা গিয়েছে, ফেরিতে থাকা সকলকেই উদ্ধার করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার জন্য ফেরি পরিষেবাকেই দায়ী করেছেন অর্পিতা। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, “সমুদ্র উত্তাল ছিল। ফেরিতে ১০ জন লোক বসতে পারে। কিন্তু টাকার লোভে ওরা তিন-চার জনের বেশি চাপাচ্ছিল না। আমাদের ফেরিই শেষ ফেরি ছিল। আগেই আমরা ওদের প্রশ্ন করেছিলাম, এই পরিস্থিতিতে সমুদ্র যাওয়া নিরাপদ হবে কি না। ওরা বলেছিল, কোনও সমস্যা হবে না।”

অর্পিতা জানিয়েছেন, সমুদ্রে যাওয়ার পরেই ঢেউয়ের ধাক্কায় ফেরি উল্টে যায়। তিনি বলেন, “যদি লাইফগার্ডেরা না আসত তা হলে আমরা বাঁচতাম না। এখনও আতঙ্ক কাটছে না। আমার জীবনে এই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়নি। ফেরিতে আরও বেশি লোক থাকলে এই দুর্ঘটনা হত না।”

পুরীর সমুদ্রে এই ধরনের জলক্রীড়া বন্ধ করার দাবি তুলেছেন অর্পিতা। তদন্তের দাবিও তুলেছেন স্নেহাশিসের স্ত্রী। তিনি বলেন, “পুরীর সমুদ্র খুব উত্তাল। এখানে এই ধরনের জলক্রীড়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কলকাতায় গিয়ে পুলিশ সুপার ও মুখ্যমন্ত্রীকে আমি চিঠি লিখব। ওঁদের অনুরোধ করব, পুরীর সমুদ্রে জলক্রীড়া বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।”

সামনেই বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগ রয়েছে। তার পরে বাংলার ক্রিকেট সংস্থায় নির্বাচন। অর্থাৎ, ব্যস্ততা শেষ হবে না স্নেহাশিসের। তার আগে স্ত্রীর সঙ্গে পুরীতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেখানে গিয়ে যে এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন তাঁরা হবেন, তা স্বপ্নেও ভাবেননি সৌরভের দাদা-বৌদি।

Snehasish Ganguly Sourav Ganguly
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy