প্রথম দিন পড়েছিল ১৪ উইকেট। দেখে মনে হচ্ছিল লর্ডসের পিচে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারবে না দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে খেলায় ফিরল তারা। বলা ভাল দলকে খেলায় ফেরালেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও ডেভিড বেডিংহ্যামের জুটি। গোটা সেশনে মাত্র এক উইকেট নিতে পারলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারেরা। বাভুমা ধৈর্য না হারালে সেটাও পেতেন না প্যাট কামিন্সেরা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৫ উইকেটে ১২১। অস্ট্রেলিয়ার থেকে ৯১ রানে পিছিয়ে তারা।
৪ উইকেটে ৪৩ রান থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের প্রথম কাজ ছিল, সকালের সেশন পার করা। কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হেজ়লউডের সামনে তা সহজ ছিল না। নিজেদের ডিফেন্সে ভরসা রাখলেন দুই প্রোটিয়া ব্যাটার। অহেতুক ঝুঁকি নিলেন না। সময় নিয়ে খেললেন। তাঁরা জানতেন বল একটু পুরনো হলে রান আসবে। সেটাই হল। ৬৪ রানের জুটি হল বাভুমা ও বেডিংহ্যামের মধ্যে। সেই জুটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচে ফেরাল।
ধীরে ধীরে হাত খোলা শুরু করেন বাভুমা। কামিন্সের একটা বলে পুল করে ছক্কা মারেন তিনি। সেই শট দেখে কামিন্সই একটু অবাক হয়ে যান। ছক্কা মারার পর বাভুমা হয়তো একটু ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছিলেন। নইলে তার পরেই কভার দিয়ে হাওয়ায় শট খেলতেন না তিনি। ঝাঁপিয়ে ভাল ক্যাচ ধরলেন মার্নাশ লাবুশেন। ৩৬ রান করে আউট হলেন বাভুমা।
আরও পড়ুন:
অধিনায়ক আউট হওয়ার পর বেডিংহ্যাম জুটি বাঁধেন উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনির সঙ্গে। টেস্টে চারটে শতরান রয়েছে ভেরেইনির। তাই পাঁচ উইকেট পড়লেও কাজ শেষ হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। এর পর মার্কো জানসেন, কেশব মহারাজ রয়েছেন। তাঁরাও ব্যাট করতে পারেন। মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত উইকেটে থাকেন বেডিংহ্যাম ও ভেরেইনি। দলের রান ১০০ পার করেন তাঁরা। বিরতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৫ উইকেটে ১২১। বেডিংহ্যাম ৩৯ ও ভেরেইনি ১১ রানে খেলছেন। এই সেশন দক্ষিণ আফ্রিকার। এখন দেখার মধ্যাহ্নভোজের পরের সেশন কাদের দখলে যায়।