উইকেট তুলতে না পারলেও রান দেবেন না, এই মন্ত্র নিয়েই খেলতে নেমেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পাওয়ার প্লে-তে কোনও উইকেট না পড়লেও বেশি রান তুলতে পারেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২০ ওভারে তারা তুলল ১৬২ রান। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে রান পেলেন না ঈশান কিশনও।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মানেই বড় রানের ইনিংস। অভিষেক শর্মা, ট্রেভিস হেডদের দাপটে অনায়াসে ২০০ রানের গণ্ডি পার করে দেয় তারা। সেই দলকে মুম্বই এমন পিচে খেলতে নামাল যেখানে বল থমকে ব্যাটে আসে। তাতেই সমস্যায় পড়লেন অভিষেকেরা। পুরনো দলের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে মাত্র ২ রান করে আউট হয়ে যান ঈশান।
হায়দরাবাদ প্রথম উইকেট হারায় অষ্টম ওভারে। কিন্তু ওপেনিং জুটিতে ৫৯ রানের বেশি করতে পারেননি অভিষেকেরা। মুম্বই একের পর এক ক্যাচ না ফেললে আরও আগেই শেষ হয়ে যেত তাঁদের জুটি। কিন্তু অভিষেক এবং হেডের ক্যাচ ফেলে দেন মুম্বইয়ের ফিল্ডারেরা। তাতেই অষ্টম ওভারে পর্যন্ত গড়ায় সেই জুটি।
আরও পড়ুন:
অভিষেককে আউট করেন হার্দিক। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলটি করার পর চোট লেগেছিল মুম্বই অধিনায়কের। মাঠে ফিজিয়ো এসে শুশ্রূষা করেন। পরের বলেই আউট হয়ে যান অভিষেক (২৮ বলে ৪০ রান)। পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ঈশান। ট্রেভিস হেডও (২৯ বলে ২৮ রান) বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি। নো বলে আউট হয়েছিলেন এক বার। ফ্রি হিটেও ক্যাচ দিয়েছিলেন। জসপ্রীত বুমরাহদের দাপটে নিজের চেনা ছন্দে পাওয়া গেল না হেডকে।
বৃহস্পতিবার নিজের জাত চেনানোর সুযোগ ছিল নীতীশ কুমার রেড্ডীর কাছে। কিন্তু তিনি ২১ বলে ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি। হেইনরিখ ক্লাসেন কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। হায়দরাবাদের ইনিংসে তিনিই প্রথম ছক্কা মারেন। কিন্তু ২৮ বলে ৩৭ রানের বেশি করতে পারেননি ক্লাসেন। ১৭তম ওভারের আগে হায়দরাবাদের কোনও ব্যাটার ছক্কা মারতে পারেননি। শেষ তিন ওভারে হায়দরাবাদ ৪৭ রান তোলে। রান তাড়া করতে নেমে মুম্বইকে ভুগতে হতে পারে হার্দিকের ওই শেষ ওভারের জন্য। শেষ বেলায় অনিকেত বর্মা ৮ বলে ১৮ রান করে হায়দরাবাদকে লড়াইয়ে রেখে দেন।