Advertisement
১১ মে ২০২৪
Jhulan Goswami

টস করতে গেলেন প্রাক্তন অধিনায়ক, ঝুলনের বিদায়ে চোখের জল আটকাতে পারলেন না হরমনপ্রীত

শনিবার আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন ঝুলন গোস্বামী। সেই শেষের শুরুটার সব কিছু জুড়েই ছিলেন বাংলার পেসার। শনিবারের পর যাঁর নামের পাশে বসে যাবে ‘প্রাক্তন’ শব্দটা।

টস করতে নেমেছেন ঝুলন।

টস করতে নেমেছেন ঝুলন। ছবি: ইসিবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:৫০
Share: Save:

লর্ডসের মাঠে শতরান করে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মাঠেই কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামলেন ভারতের আরও এক প্রাক্তন অধিনায়ক। দুই বাঙালির ক্রিকেট জীবনের সঙ্গেই জড়িয়ে রইল লর্ডস।

শনিবার আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামলেন ঝুলন গোস্বামী। সেই শেষের শুরুটার সব কিছু জুড়েই ছিলেন বাংলার পেসার। শনিবারের পর যাঁর নামের পাশে বসে যাবে ‘প্রাক্তন’ শব্দটা। বোর্ডের পক্ষ থেকে দেশের প্রাক্তন অধিনায়কের হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হয়। যা তুলে দেওয়ার সময় ঝুলনের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখা যায় হরমনপ্রীত কউরকে। ভারত অধিনায়ককে সামলান ঝুলনই। এত দিন ধরে যে ভাবে দলটাকে সামলে এসেছেন। তাঁদের সেই প্রিয় ‘ঝুলুদি’ এ বার বিদায় জানাতে চলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে।

ঝুলনকে সম্মান জানাতে শনিবার হরমনপ্রীত তাঁকেই টস করতে পাঠিয়েছিলেন। সেখানে ঝুলন বলেন, “ভারতীয় বোর্ড, বাংলার ক্রিকেট সংস্থা, আমার পরিবার, কোচ, অধিনায়কদের ধন্যবাদ। এটা খুব আবেগের মুহূর্ত। ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই শুরু করেছিলাম, তাদের বিরুদ্ধেই শেষ করছি। সব থেকে বড় ব্যাপার হল আমরা ২-০ এগিয়ে।”

হরমনপ্রীতকে সামলাচ্ছেন ঝুলন।

হরমনপ্রীতকে সামলাচ্ছেন ঝুলন। ছবি: টুইটার থেকে

ঝুলনের কাছে ব্যক্তির থেকে সব সময় দল আগে। তিনি নিজে বার বার বলেছেন যে, বিশ্বকাপ জিততে না পারা তাঁর কাছে সব থেকে আফসোসের। শনিবার ঝুলন বলেন, “প্রতিটা মুহূর্ত খুব আবেগের। ২০১৭ সালের বিশ্বকাপে কেউ ভাবেনি আমরা পারব। কিন্তু ফাইনালে উঠেছিলাম। যে ভাবে সেই প্রতিযোগিতা আমরা খেলেছিলাম তা আমাদের দেশের মেয়েদের ক্রিকেটটাই পাল্টে দিয়েছে। অনেক তরুণীকে ক্রিকেট খেলতে উৎসাহ দিয়েছে ওই বিশ্বকাপ।”

হরমনপ্রীত কেঁদে ফেললেও ঝুলনের চোখে জল নেই। শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগে ঝুলন বলেন, “আবেগকে সামলে রাখতেই হবে। ক্রিকেট মাঠে আবেগের কোনও জায়গা নেই। আমি এ রকমই নির্মম। ক্রিকেট খেলতেই হবে এবং নিজের সেরাটা দিতে হবে। আমার সতীর্থরা, স্মৃতি মন্ধানা, হরমনপ্রীতরা অনেক ওঠানামা দেখেছে। সেই সব ক্ষেত্রে আমরা একে অপরের পাশে ছিলাম। আবেগ মাঠে নামার আগে বেরিয়ে যাওয়াই ভাল। খেলার সময় তরতাজা থাকতে হবে। হরমন এবং স্মৃতি দলকে যে ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা দেখে আমি খুশি। হরমন দুর্দান্ত, নিজের দিনে ওকে আউট করা খুব কঠিন। যষ্টিকা, হরলিনের মতো ক্রিকেটাররা উঠে আসছে। আশা করব ভবিষ্যতে ওরা দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE