৭ ভুল: প্রতি ম্যাচে করছে কেকেআর, খুঁজে দেখল আনন্দবাজার ডট কম

চলতি আইপিএলে প্রথম বার পর পর দু’ম্যাচ হেরেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এ বার ভাল ফর্মে নেই দল। আটটি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে হেরেছে তারা। প্লে-অফে ওঠার আশা ক্রমশ কমছে অজিঙ্ক রাহানেদের। কেন এই অবস্থা কেকেআরের? কোথায় সমস্যা হচ্ছে তাদের? খতিয়ে দেখল আনন্দবাজার ডট কম।

১) বার বার একই ভুল রাহানের

অধিনায়ক রাহানে প্রতিটি ম্যাচ হেরে বলছেন, এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে নামবেন তাঁরা। কিন্তু সেই শিক্ষা কোথায়? বার বার একই ভুল করছেন তাঁরা। রাহানে জানেন কোথায় সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু কী ভাবে সেই সমস্যার সমাধান হবে তা জানেন না তিনি। তিনি নিজেই তো বার বার একই ভুল করছেন। বোলিং পরিবর্তন থেকে ফিল্ডিং সাজানো— প্রতি ম্যাচে এক ছবি। কোনও বৈচিত্র নেই। প্রতিপক্ষ কেকেআরের পরিকল্পনা ধরে ফেলেছে। তা-ও রাহানে নতুন কিছু করছেন না। তার খেসারত দিতে হচ্ছে দলকে।

২) ওপেনিং জুটি ব্যর্থ

কেকেআরকে গত বার চ্যাম্পিয়ন করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিল দলের ওপেনিং জুটি। ফিল সল্ট ও সুনীল নারাইন প্রায় প্রতি ম্যাচে দলকে ভাল শুরু দিয়েছিলেন। এ বার সেখানেই সমস্যায় পড়েছে তারা। সল্টের অভাব মেটাতে পারছেন না কুইন্টন ডি’কক বা রহমানুল্লা গুরবাজ়। ডি’কক একটি ম্যাচে রান করেছেন। গুরবাজ় একমাত্র ম্যাচে ব্যর্থ। নারাইন কিছু ম্যাচে ভাল শুরু করলেও আগের বারের ছন্দে নেই। ফলে সমস্যা হচ্ছে কলকাতার।

৩) মিডল অর্ডারে ভরসার অভাব

গত বার শ্রেয়স আয়ার মিডল অর্ডারকে ভরসা দিয়েছিলেন। বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভাল খেলেছিলেন বেঙ্কটেশ আয়ারও। এ বার কেউ সেই কাজটা করতে পারছেন না। শ্রেয়স নেই। ২৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় কেনা বেঙ্কটেশের ব্যাটে রান নেই। একা রাহানে আর কত টানবেন? তার ফলে মাঝের ওভারেও রান করতে পারছে না কলকাতা।

৪) ফিনিশারের অভাব

এ বার কেকেআরে ফিনিশারের কাজটাও কেউ করতে পারছেন না। রিঙ্কু সিংহ, রমনদীপ সিংহ ও আন্দ্রে রাসেল আগের বারের ছায়া। চলতি মরসুমে একটা ম্যাচেও লোয়ার অর্ডার রান পায়নি। ফলে কয়েকটি ম্যাচে জেতার পরিস্থিতি থেকে হারতে হয়েছে কেকেআরকে। অন্তত লখনউ সুপার জায়ান্টস ও পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে জেতা ম্যাচ হেরেছেন রাহানেরা। তার দায় নিতে হবে লোয়ার অর্ডারকেই।

৫) বড় রানের জুটি নেই

বড় রান করতে হলে জুটি গড়তে হয়। ২০ ওভারের ক্রিকেটে একটা বড় জুটিই দলকে বড় রানে নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু এ বার জুটিই বাঁধতে পারছে না কেকেআর। ফলে পাওয়ার প্লে, মাঝের ওভার, এমনকি, ডেথ ওভারেও দ্রুত রান করতে পারছে না তারা। ফলে সমস্যায় পড়েছে দল।

৬) ভাল বিদেশি পেসারের অভাব

গত বার মিচেল স্টার্ক শুরুটা খারাপ করলেও শেষ দিকে ছন্দ পেয়েছিলেন। স্টার্ক যেমনই বল করুন না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে খেলতে কিছুটা হলেও ভয় পান ব্যাটারেরা। এ বার সেই ভয়টাই নেই কারও। স্পেনসার জনসন আইপিএলের মতো মঞ্চে পরীক্ষিত নন। অনরিখ নোখিয়া বেশি সুযোগ পাননি। বিদেশি পেসার না থাকায় হর্ষিত রানা ও বৈভব অরোরার উপর সব চাপ পড়ে যাচ্ছে। ফলে তাঁরাও রান দিয়ে ফেলছেন।

৭) বরুণের ধারাবাহিকতার অভাব

গত বার কেকেআর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল বরুণ চক্রবর্তীর। প্রায় প্রতি ম্যাচে তিনি উইকেট পেয়েছেন। তিনি থাকায় মাঝের ওভারে সমস্যায় পড়ছিল প্রতিপক্ষ দল। কেকেআরের হয়ে সর্বাধিক উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এ বার তিনি ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছেন না। কোনও ম্যাচে উইকেট নিচ্ছেন, তো পরের ম্যাচেই রান দিচ্ছেন। বরুণ ফর্মে না থাকায় সমস্যা বাড়ছে কেকেআরের।