আইপিএল জেতার এক মাসের মধ্যেই যশ দয়ালের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন এক তরুণী। শুধু নির্যাতন নয়, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, আরও তিন মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটারের। সেই সব সম্পর্কের কথা তাঁর পরিবার জানত বলেও অভিযোগ তরুণীর।
এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, তরুণী জানিয়েছেন, ২০২০ সালে দয়ালের সঙ্গে সমাজমাধ্যমে আলাপ তাঁর। দয়ালের বাড়িতে তিনি অনেক বার থেকেছেন বলেও দাবি করেছেন। ২০২২ সালের আইপিএল ফাইনালও তিনি দেখতে গিয়েছিলেন। সে বার দয়ালের প্রাক্তন দল গুজরাত টাইটান্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। নিজের দাবির সমর্থনে বিভিন্ন ছবিও পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন তিনি।
তরুণীর অভিযোগ, তিনি ছাড়া আরও তিন মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল দয়ালের। তাঁদেরও একই ভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন বিরাট কোহলিদের দলের ক্রিকেটার। তিনি অভিযোগ করায় অন্য তিন জন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে দাবি করেছেন তরুণী। তাঁদের ফোন ব্যবহার করে দয়াল অনেক জিনিস কিনেছেন। সেই সব অভিযোগ তিনি জমা দিয়েছেন।
গাজিয়াবাদের ওই তরুণী অনলাইনে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে অভিযোগ করেছেন। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে গাজিয়াবাদের সার্কেল অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এফআইআরে ওই তরুণী জানিয়েছেন, দয়ালের সঙ্গে সাড়ে চার বছর সম্পর্কে ছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর উপরে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাঁর থেকে টাকাও নিয়েছেন দয়াল। সমস্ত চ্যাট, তার স্ক্রিনশট, ভিডিয়ো কল এবং ছবি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন ওই তরুণী।
আরও পড়ুন:
নির্যাতিতার অভিযোগ, দয়াল তাঁর পরিবারের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। স্বামীর মতোই ব্যবহার করতেন। এতে দয়ালকে পুরোপুরি বিশ্বাস করে ফেলেন ওই তরুণী। ভুল বুঝতে পেরে প্রতিবাদ করায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। গত ১৪ জুন মহিলাদের হেল্পলাইনে ফোন করে সাহায্য চান তরুণী। তাতে লাভ না হওয়ায় অনলাইনে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ তোলেন। দয়ালের বিরুদ্ধে সঠিক ভাবে তদন্ত করে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছে যোগী সরকার।
গত আইপিএলে বেঙ্গালুরুর হয়ে ১৫টি ম্যাচ খেলে ১৩টি উইকেট নিয়েছিলেন দয়াল। বছর দুয়েক আগে গুজরাতের হয়ে খেলার সময় রিঙ্কু সিংহের হাতে পাঁচটি ছক্কা খেয়েছিলেন তিনি। তরুণীর সব অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে দয়ালের পরিবার। যদিও এখনও পর্যন্ত ক্রিকেটার মুখ খোলেননি।