এক বারও আইপিএল জেতেনি তারা। তবু প্রচুর মানুষ সমর্থন করেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে (আরসিবি)। বছরের পর বছর ধরে তারকা ক্রিকেটারেরা খেলা সত্ত্বেও ট্রফি জেতেনি আরসিবি। শেষ পাঁচটি মরসুমের মধ্যে চার বার প্লে-অফে উঠলেও সেখানেই আটকে গিয়েছে তারা।
আবার একটি নতুন মরসুমের সামনে বিরাট কোহলিরা। এ বার আরসিবি-কে নেতৃত্ব দেবেন রজত পাটীদার। অনভিজ্ঞ অধিনায়ককে নিয়েই যাত্রা শুরু হচ্ছে তাদের। তার আগে কোহলিদের শক্তি-দুর্বলতা বিচার করে দেখল আনন্দবাজার ডট কম।
শক্তি
১) ফিল সল্টকে নিলামে কিনেছে আরসিবি। তিনিই ওপেন করবেন কোহলির সঙ্গে। ফলে আরসিবি-র টপ অর্ডার বেশ মজবুত হয়েছে। দু’জনেই আগ্রাসী খেলেন। কেউ এক জন থেকে গেলে বড় রান উঠতে পারে। মিডল অর্ডারে রজত পাটীদার, লিয়াম লিভিংস্টোন এবং টিম ডেভিড থাকায় সেখানেও কোনও সমস্যা নেই। বিপক্ষের বোলারদের কেউই শান্তিতে থাকতে দেবেন না।
২) বোলিং বিভাগও বেশ ভাল। লুনগি এনগিডি, জশ হেজ়লউড এবং নুয়ান থুসারা রয়েছেন। প্রত্যেকেরই নিজস্ব দক্ষতা রয়েছে। বলেও রয়েছে বৈচিত্র। ফলে দলের কাছে একাধিক বিকল্প থাকছে। সেইমতো কৌশল তৈরি করা যাবে। জোরে বোলিং বিভাগে আরসিবি-কে নিয়ে চিন্তার বিশেষ জায়গা নেই।
৩) ক্রুণাল পাণ্ড্যের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে আরসিবি-র কাছে বড় লাভ। ব্যাটিং এবং বোলিং, দুই বিভাগেই যথেষ্ট গভীরতা এনে দিতে পারেন তিনি। তাঁর অলরাউন্ড দক্ষতা দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এ ছাড়া রোমারিয়ো শেফার্ডের মতো ক্রিকেটার রয়েছেন, যিনি পেস বোলিং অলরাউন্ডার। এখানেও আরসিবি-র হাতে বৈচিত্র থাকছে।
আরও পড়ুন:
দুর্বলতা
১) ক্রুণাল এবং সুযশ শর্মা থাকলেও, আরসিবি-র স্পিন বিভাগ বেশ দুর্বল। প্রথম সারির কোনও স্পিনার দলে নেই। ঘূর্ণি পিচে খেলতে গেলে সমস্যায় পড়তে পারে আরসিবি। ভারতের অনেক মাঠেই স্পিনারেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। বিশেষত চেন্নাই, লখনউ, রাজস্থানের মতো মাঠে। সেখানে জেতা কঠিন হতে পারে আরসিবি-র।
২) প্রথম একাদশ শক্তিশালী হলেও, আরসিবি-র হাতে যথেষ্ট পরিমাণে বিকল্প নেই। প্রথম সারির কোনও ক্রিকেটার গুরুতর চোট পেলে তাঁর জায়গা নেওয়ার মতো কেউ নেই। ফলে আইপিএলের মাঝেই ধাক্কা খেতে পারে আরসিবি। লম্বা মরসুম হওয়ায় দলে গভীরতার অভাব রয়েছে।
৩) সমর্থকদের চাপ আবারও সমস্যার হতে পারে। বেঙ্গালুরুর সমর্থকেরা বরাবরই দলের জয় চান। ক্রিকেটারদের কাছেও অনবরত সেই আবদার করেন। বছরের পর বছর দলের ব্যর্থতা দেখে তাঁরাও ক্লান্ত। তবু অনুশীলনেও পুরো স্টেডিয়াম ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। ম্যাচে কী হবে তা সহজেই অনুমেয়। ঘরের মাঠে বহু বার তাদের হারতে হয়েছে চাপ সামলাতে না পেরে। এ বারও এই চাপ নিয়েই খেলতে নামতে হবে ক্রিকেটারদের।