খেলা শুরুর আগেই পিচ দেখে চমকে গিয়েছিলেন সকলে। খেলা যত গড়িয়েছে, বোঝা গিয়েছে, কেন ছিল সেই চমক। মাত্র দু’দিনে শেষ হয়ে গিয়েছে মেলবোর্ন টেস্ট। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড, দু’দলের ব্যাটারেরাই হিমশিম খেয়েছেন। পিচে ছিল ১০ মিলিমিটার ঘাস। এই পিচ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড, দু’দলের প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা। এ বার আইসিসি-র পালা। ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট দেখে তারা এই পিচকে কেমন বলে সে দিকেই তাকিয়ে সকলে।
প্রতিটি ম্যাচ শেষে আইসিসি-র কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেন ম্যাচ রেফারি। সেই ম্যাচে পিচ কেমন ছিল, তা নিয়েও নিজের মতামত জানান ম্যাচ রেফারি। সেই মতামত দেখে একটি নম্বর দেয় আইসিসি। যদি কোনও কারণ পিচ কম নম্বর পায় তা হলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। মেলবোর্নের ক্ষেত্রেও তেমনটা হতে পারে।
সূত্রের খবর, মেলবোর্নের পিচকে ‘অসন্তোষজনক’ বলতে পারে আইসিসি। সে ক্ষেত্রে সেই মাঠ ও সংশ্লিষ্ট দেশের বোর্ডকে নোটিস পাঠায় আইসিসি। সেই মাঠ একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পায়। যদি পাঁচ বছরের মধ্যে কোনও মাঠ ছ’টি ডিমেরিট পয়েন্ট পায় তা হলে এক বছর নির্বাসিত করা হয় তাকে। অর্থাৎ, এক বছর সেই মাঠে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা যায় না।
আরও পড়ুন:
অ্যাশেজ় সিরিজ়ে প্রথম তিন টেস্ট জিতে সিরিজ় জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নে ১০ মিলিমিটার ঘাস রাখা হয়। কারণ, এই সিরিজ়ে অসি পেসারদের সামনে বার বার মুখ থুবড়ে পড়েছে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং। কিন্তু মেলবোর্নে ফল হয় উল্টো। অসি ব্যাটারেরাও খেলতে পারেননি। উল্টে চতুর্থ ইনিংসে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। অর্থাৎ, নিজেদের ফাঁদে নিজেরাই পড়ে অস্ট্রেলিয়া।
খেলা শেষে মেলবোর্নের পিচ নিয়ে মুখ খোলেন ইংল্যান্ডের তিন প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন, কেভিন পিটারসেন ও অ্যালিস্টার কুক। পিচের সমালোচনা করেন অস্ট্রেলিয়ার দুই প্রাক্তন পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা ও ব্রেট লি-ও। তবে এর পরেও একটি আশা রয়েছে অসি বোর্ডের। পার্থেও দু’দিন খেলা শেষ হয়ে গিয়েছিল। তার পরেও সেই পিচকে ভাল বলেছিল আইসিসি। এ বারও কি সেই পথেই হাঁটবে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা? শোনা যাচ্ছে, এ বার হয়তো আর পাবে না অস্ট্রেলিয়ার মাঠের পিচ।