Advertisement
E-Paper

পাক হামলায় মৃত কবীর ছিলেন আফগান নির্বাচকদের নজরে, পাকতিকার ক্রিকেটে পরিচিত মুখ হারুন-শিবঘাতুল্লাও

পাকিস্তানের হামলায় তিন ক্রিকেটারের মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ আফগানিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড। প্রতিবাদে আগামী নভেম্বরে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ় না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তান।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৫৯
picture of cricket

(বাঁ দিক থেকে) কবীর, হারুন এবং শিবঘাতুল্লা। ছবি: এক্স।

পাকিস্তানের হামলায় মৃত্যু হয়েছে আফগানিস্তানের তিন ক্রিকেটারের। প্রতিবাদে ত্রিদেশীয় সিরিজ় থেকে সরে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। সমাজমাধ্যমে সোচ্চার হয়েছেন রশিদ খান, ফজ়লহক ফারুকিরা। মৃত তিন ক্রিকেটার কবীর, শিবঘাতুল্লা এবং হারুনের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা।

তিন জনের মধ্যে কবীরকে আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের তারকা হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটে কবীর নজর কাড়ছিলেন গত দু’মরসুম ধরে। আগ্রাসী ব্যাটার হিসাবে পরিচিত ছিলেন। সাধারণত ওপেন করতেন। কখনও কখনও তিন নম্বরেও ব্যাট করতেন। ধারাবাহিকতার জন্য আফগানিস্তানের দক্ষিণ প্রাদেশিক অনূর্ধ্ব-২৩ প্রশিক্ষণ শিবিরে ডাক পেয়েছিলেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য আফগানিস্তানের জাতীয় নির্বাচকদের নজরেও ছিলেন।

পাকতিকা প্রদেশের বাসিন্দা শিবঘআতুল্লা ছিলেন জোরে বোলার। হাতে ছিল ভাল ইনসুইং। পাকতিকা প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ছিলেন। আগামী মরসুমে উরগুন ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন শিবঘাতুল্লা।

হারুন ছিলেন প্রতিভাবান অলরাউন্ডার। টেনিস বলের ক্রিকেট থেকে উঠে এসেছিলেন। পাকতিকা প্রদেশের স্থানীয় একটি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় নজর কেড়েছিলেন। ডান হাতি ব্যাটার কার্যকর স্পিন বল করতে পারতেন। তিনিও শিবঘাতুল্লার মতোই পাকতিকা প্রদেশের উরগুনের বাসিন্দা ছিলেন। ক্রিকেটের পাশাপাশি পড়াশোনায়ও ভাল ছিলেন। স্থানীয় এক কলেজে স্নাতক স্তরে পড়াশোনাও করছিলেন।

মৃত তিন ক্রিকেটারের ছবি প্রকাশ করেছে আফগান বোর্ড। এসিবি-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পাকতিকা প্রদেশের উরগুন জেলার ক্রিকেটারদের উপর কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। তাঁরা শহিদ হয়েছেন। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই ঘটনায় গভীর ভাবে শোকাহত। উরগুন জেলার তিন ক্রিকেটার এবং আরও পাঁচ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সাত জন জখম। এই ক্রিকেটারেরা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে এর আগে পাকতিকার রাজধানী শারানায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে উরগুনে ফেরার পরে তাঁদের নিশানা করা হয়।’’ আগামী নভেম্বরে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজ়ে খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের। সেই প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে এবিসি।

গত এক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। বুধবার ৪৮ ঘণ্টার সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করেছিল দুই দেশ। তার মেয়াদ শেষ হয়েছে শুক্রবার। তার পর রাতেই পাকিস্তান হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

Pakistan Afghanistan Conflict
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy