Advertisement
E-Paper

দু’জনের জন্য অবসরের সিদ্ধান্ত এক বছর পিছিয়ে দিয়েছেন ঋদ্ধিমান, রয়েছে কোচ হওয়ার বাসনাও

আনুষ্ঠানিক ভাবে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর ঋদ্ধিমান সাহা জানালেন, দু’জন মানুষের জন্য গত মরসুমের পর অবসরের সিদ্ধান্ত নেননি। পাশাপাশি, আগামী দিনে কোচ হিসাবেও তাঁকে দেখা যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:২১
cricket

ঋদ্ধিমান সাহা। — ফাইল চিত্র।

ত্রিপুরার হয়ে খেলে মরসুম শেষ হওয়ার পর ঠিকই করেছিলেন অবসর নিয়ে নেবেন। ইডেন গার্ডেন্সে সে কথা জানাতেও গিয়েছিলেন। কয়েক ঘণ্টা পরে বদলে গিয়েছিল ভাবনা। জানিয়েছিলেন, এই মরসুমে বাংলার হয়ে খেলবেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর ঋদ্ধিমান সাহা জানালেন, দু’জন মানুষের জন্য গত মরসুমের পর অবসরের সিদ্ধান্ত নেননি। পাশাপাশি, আগামী দিনে কোচ হিসাবে তাঁকে দেখা যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

রঞ্জিতে কর্নাটকের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের খেলা শেষে ঋদ্ধি বলেছেন, “এ বছর খেলার কথা ছিল না। কিন্তু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং আমার স্ত্রীর জোরাজুরিতে বাংলার হয়ে এই মরসুম খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দু’বছর ত্রিপুরার হয়ে খেলেছি। এ বছর শরীর এবং চোটের কারণে পুরো মরসুম খেলতে পারব না। তাই শুধু রঞ্জি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কঠিন হলেও পারব।”

শুধু ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নয়, আইপিএলেও আর খেলবেন না ঋদ্ধি। নিজের দল গুজরাত টাইটান্সকে গত মরসুম শেষে সেটা জানিয়ে দিয়েছিলেন। আইপিএলের শুরু থেকে প্রতিটি মরসুম খেলা ঋদ্ধিমান জানালেন, অবসরের সিদ্ধান্ত নিতে মোটেই ভাবতে হয়নি।

ঋদ্ধিমানের কথায়, “খুব সহজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগেই ঠিক করেছিলাম এ বছর খেলব না। গত বছর থেকে মনকে সে ভাবেই প্রস্তুত করেছি। তবু স্ত্রী এবং সৌরভ মিলে বলল এ বছরটা খেলতে। ওদের কথা ফেলতে পারিনি। তা ছাড়া বাংলায় খেলেই আমার বড় হওয়া। তাই আবেগ তো রয়েছেই।”

৪০ টেস্ট খেলা ঋদ্ধিমান জানিয়েছেন, নিজের দিকে একটু বেশি মন দিলে হয়তো পরিসংখ্যান ভাল হত। তবে তিনি দলের স্বার্থের কথা আগে ভেবেছেন। তাই ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানের কথা মাথায় রাখছেন না। বাংলার উইকেটকিপারের কথায়, “৪০টা টেস্ট খেলেছি। কখনও বাদ গিয়েছি, কখনও চোট পেয়েছি। আবার ফিরে এসেছি। ১৭ বছর ভারতের হয়ে খেলেছি। আইপিএল, বাংলার হয়ে খেলেছি। খুব ভাল অভিজ্ঞতা।”

ঋদ্ধিমানের সংযোজন, “ডিক্লেয়ারের আগের মুহূর্তে খেলা অনেক ইনিংস রয়েছে। ৩-৪ ওভারের মধ্যে আউট না হয়ে গেলে হয়তো গড় ৩০-এর জায়গায় ৩৫ হত। তবে আমি সব সময় দলের কথা ভেবেছি। নিজের কথা ভেবে খেললে পরিসংখ্যান আরও ভাল হত। যদি ক্রিজ়‌ে গিয়ে চালিয়ে খেলতে বলা হত, সেটাই করতাম। আউট হলে ভাবতাম না। বরাবর দলের জন্য খেলেছি।”

ভবিষ্যতের পরিকল্পনাও ঘোরাফেরা করছে ঋদ্ধির মাথায়। বলেছেন, “যদি বাংলা বা অন্য রাজ্য থেকে কোচিংয়ের প্রস্তাব আসে তা হলে ভেবে দেখব। ছোটবেলা থেকে তো শুধু ক্রিকেটই খেলেছি। ফাঁকা সময়ে কয়েকটা অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিংও করাই। তাই কোচের চাকরি পেলে ভেবে দেখতে অসুবিধা নেই।”

Wriddhiman Saha Sourav Ganguly BCCI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy