Advertisement
২৬ মার্চ ২০২৩

স্ট্র্যাটেজিতে কোহলি-বধ, তবু বলতে পারছি না এই ধোনিরা চ্যাম্পিয়ন

এমএস ধোনিকে লোকে কেন পোড়খাওয়া ক্যাপ্টেন বলে, বুঝিয়ে গেল রাঁচি। বিরাট কোহলিকে অধিনায়ক হিসেবে আরও কতটা খাটতে হবে, সেটাও বুঝিয়ে গেল রাঁচি। আশা করা যায়, আজকের পর দু’জনের অধিনায়কত্বের তুলনা আর হবে না। সিএসকে টিমটা মোটেও এ বার চ্যাম্পিয়নের মতো খেলছে না। ব্রেন্ডন ম্যাকালাম নেই।

হর্ষের অধিনায়ক। ফুরফুরে ধোনি কি বিস্ফোরণ না ঘটানোর জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছেন গেইলকে। শুক্রবার রাঁচিতে।

হর্ষের অধিনায়ক। ফুরফুরে ধোনি কি বিস্ফোরণ না ঘটানোর জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছেন গেইলকে। শুক্রবার রাঁচিতে।

অশোক মলহোত্র
শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৫ ০৩:৪৬
Share: Save:

এমএস ধোনিকে লোকে কেন পোড়খাওয়া ক্যাপ্টেন বলে, বুঝিয়ে গেল রাঁচি।

Advertisement

বিরাট কোহলিকে অধিনায়ক হিসেবে আরও কতটা খাটতে হবে, সেটাও বুঝিয়ে গেল রাঁচি।

আশা করা যায়, আজকের পর দু’জনের অধিনায়কত্বের তুলনা আর হবে না। সিএসকে টিমটা মোটেও এ বার চ্যাম্পিয়নের মতো খেলছে না। ব্রেন্ডন ম্যাকালাম নেই। মুম্বইয়ের কাছে হেরে রাঁচি কোয়ালিফায়ারটা ধোনির কাছে মরণ-বাঁচন হয়ে গিয়েছিল। আর সামনে কে? না, বিরাট কোহলির আরসিবি। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বিধ্বংসী টিম। ফর্মে থাকা একটা টিম।

আর ধোনি কি না স্রেফ মাস্টার-স্ট্র্যাটেজি দিয়ে গেইল-কোহলিদের শেষ করে দিয়ে গেল!

Advertisement

টস জিতে কোহলিদের ব্যাটিং করতে পাঠিয়ে দিল ধোনি। ও জানত, উইকেট স্লো। দ্রুত রান তোলা এখানে কঠিন। তার উপর ক্যাপ্টেনের প্ল্যানিং মতো বোলাররা সোজা আর ঢিমে গতিতে বল করে যাওয়ায় গেইলদের কাজটা আরও কঠিন হয়ে গেল। স্ট্রোকপ্লেয়ার ওরা। শট না খেলতে পারলে ধৈর্য যে হারাবে, ধোনি জানত। ঠিক সেটাই হল। বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি না মারতে পেরে ধৈর্য হারিয়েই চলে গেল গেইল-কোহলিরা। সঙ্গে ধরতে হবে টিমটার ফিল্ডিং। মাইক হাসি একশো মিটার স্প্রিন্ট টেনে যে ভাবে মনদীপ সিংহকে ফেরাল, দেখেছেন? কেউ বলবে হাসি পাঁচ দিন পর চল্লিশে পড়বে? শুধু একটা উইকেট সিএসকে কপাল জোরে পেয়েছে। এবি ডে’ভিলিয়ার্সের উইকেট। লেগস্টাম্পের বাইরে পড়েও এলবিডব্লিউ কোন যুক্তিতে হয়, সেটা একমাত্র আম্পায়ার অনিল চৌধুরীই বলতে পারবেন।

তবে তাতে চেন্নাইয়ের কৃতিত্ব কমে না। আশিস নেহরা দুর্দান্ত বল করে থাকলে, ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব নিয়ে নিল হাসি আর ধোনি। এই উইকেটে হাসির হাফসেঞ্চুরিটা স্রেফ অমূল্য। ধোনির ইনিংসটাকেও ধরতে হবে। কারণ, এমন উইকেটে বড় শটের চেয়েও দামি হয়ে যায় সিঙ্গলস। ধোনি সেটা প্রবল চাপের মধ্যেও নাগাড়ে নিতে পারে। কয়েকটা উইকেট পড়ায় একটু যে চাপ তৈরি হয়েছিল সিএসকে ব্যাটিংয়ের উপর সেটা চলে গেল হাসি আর ধোনির ও রকম ‘কুল’ ক্রিকেটের জন্য। বললাম না, মাস্টার-স্ট্র্যাটেজিস্ট। যে দিন বেগতিক বুঝবে মাথা দিয়ে ম্যাচ বার করে নেবে।

কিন্তু তার পরেও ওর টিমকে ফাইনালে এগিয়ে রাখতে পারছি না। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও মারাত্মক ছন্দে আছে। সিএসকে সেখানে জিতলেও বিপক্ষকে দুমড়ে জিততে পারছে না। মাঝে-মাঝে হেরে যাচ্ছে। এটা সিএসকের চেনা ক্রিকেট নয়। এটা তাই চেনা সিএসকে নয়।

ফাইনালে তাই বলতে পারছি না, ধোনিরা জিতছেই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

আরসিবি ১৩৯-৮ (গেইল ৪১, নেহরা ৩-২৮)

সিএসকে ১৪০-৭ (হাসি ৫৬, চাহাল ২-২৮)।

ছবি: বিসিসিআই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.