এক দিকে যখন চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) ঘরে ফেরার আনন্দ, অন্য দিকে তখন কাবেরী জলবন্টন নিয়ে প্রতিবাদে সরব বহু মানুষ। এই প্রতিবাদে রজনীকান্ত, কমল হাসনের মতো কিংবদন্তিরাও সামিল। প্রিয় মানুষেরা প্রতিবাদে গলা মেলালেও ক্রিকেটকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি শহরের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
প্রিয় নাইটদের উৎসাহ দিতে এ দিন চেন্নাইয়ে এসে পৌঁছন শাহরুখ খান। বলিউড বাদশার উপস্থিতিই বোধহয় তাতিয়ে দেয় তাঁর দলের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলকে। ১১টা ছয় হাঁকিয়ে তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সকে বড় রানে পৌঁছে দেন ঠিকই। তবে তাঁর এই ঝোড়ো ইনিংস বিফলে যায় অম্বাতি রায়ডু, শেন ওয়াটসন, স্যাম বিলিংস ও শেষে রবীন্দ্র জাডেজার সাফল্যে।
শেষ বলে ছয় হাঁকিয়ে জাডেজা চেন্নাইকে জেতানোর পরে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি বলেন, ‘‘দু’বছর পরে নিজেদের মাঠে ফেরার অভিজ্ঞতাটা দুর্দান্ত। অসাধারণ একটা ম্যাচ হল। স্যাম দারুন ব্যাটিং করেছে। কেকেআর-ও ম্যাচটা জিততে পারত। ওরা জিতলেও সেটা ওদের প্রাপ্যই ছিল। এতগুলো ছয় মেরেছে ওরা। তাতেই তো ওরা এগিয়ে ছিল। কিন্তু আমাদেরও আবেগ চেপে রেখে লড়াই করে যেতে হয়েছে। দুই দলেরই বোলারদের আজ দিনটা খারাপ গিয়েছে।’’ শেষ দিকে ব্র্যাভোকে আগে না নামিয়ে জাডেজাকে ব্যাট করতে পাঠানো নিয়ে ধোনি বলেন, ‘‘কারও না কারও উপর ভরসা করতেই হয়। শেষ ওভারে তো দু’জন ব্যাট করে আর একজনই বোলিং করে। তার উপর ভরসা করতেই হয়। সেটাই করেছি।’’ অন্য দিকে, দ্বিতীয় ম্যাচেই হেরে নাইটদের অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক বলেন, ‘‘দু’বছর পরে ফিরছে সিএসকে। ওদের জন্য এ রকম সমর্থনই আশা করেছিলাম। দুর্দান্ত খেলেছেও ওরা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন হয়েই থাকে। পরের ম্যাচে আর একই ভুল করা চলবে না।’’