দু’বছর আগেই মস্কো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নেমেছিলেন হেপ্টাথলিট হিসেবে। শুক্রবার তিনিই দুশো মিটারের নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন— নেদারল্যান্ডসের ডাফনে শিপার্স। শুধু তাই নয়, ২১.৬৩ সেকেন্ডে রেস শেষ করে শিপার্স ভেঙে দিয়েছেন ৩৬ বছরের পুরনো ইউরোপিয়ান রেকর্ডও।
জার্মানির মারিতা কোচের এই ইভেন্টে (২১.৭১) গড়া ইউরোপিয়ান রেকর্ড, তাঁর সতীর্থ হেইকা ড্রেশলার স্পর্শ করেন সাত বছর পর। তবে এত দিন সেই কৃতিত্ব কেউ ছাপিয়ে যেতে পারেননি। যা করে দেখালেন শিপার্স। যুক্তরাষ্ট্রের মারিয়ন জোন্স (২১.৬২) ও বিশ্বরেকর্ডের মালিক ফ্লোরেন্স গ্রিফিথ জয়েনারের (২১.৩৪) শুধু শিপার্সের থেকে দ্রুত ২০০ মিটারে দৌড়নোর রেকর্ড রয়েছে। যিনি ২০১৩ মস্কো বিশ্বমিটেই হেপ্টাথেলনে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।
মাত্র দু’বছরের মধ্যে কী ভাবে ডাচ অ্যাথলিট এত উন্নতি করলেন, তা নিয়ে বিস্মিত অনেকেই। কোচ, ড্রেশলার, মারিয়ন জোন্স, জয়নারের কেরিয়ারে একাধিক বার ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। শিপার্সের আকস্মিক উত্থান নিয়েও অনেকে একই রকম সন্দেহ করলেও ডাচ তারকা কিন্তু বলে দিচ্ছেন তাঁর লুকোনোর কিছু নেই। ‘‘আমি ডোপ করিনি। এর জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। ডোপ রোখার জন্য অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি। এর থেকে বেশি আর বলতে চাই না। ইউরোপিয়ান রেকর্ড করে দারুণ খুশি,’’ বলে দেন শিপার্স।
বিশ্বাস হচ্ছে না জামাইকার সমর্থকদেরও। ২০০ মিটারে এ দিন মস্কো বিশ্ব মিটের চ্যাম্পিয়ন শেলি অ্যান ফ্রেজার প্রাইস না থাকলেও জামাইকারই এলাইন থমসন (২১.৬৬) ও দু’বারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ভেরোনিকা ক্যাম্পবেল ব্রাউনের (২১.৯৭) মতো তারকা অ্যাথলিটরা ছিলেন। দুই জামাইকান প্রতিদ্বন্দ্বীকেই শেষ ৫০ মিটারে টপকে যান শিপার্স। তিন দিন আগে যিনি ১০০ মিটারে রুপো জিতে প্রথম স্প্রিন্ট বিশ্বের নজরে পড়েন। তাই হারলেও এলাইনরা হতাশ নন। বরং বলছেন, ‘‘দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বী শিপার্স।’’