চেন্নাই রক্ষণ ছত্রভঙ্গ। গোলের উৎসব বাদজির। ছবি: আইএসএল।
চ্যাম্পিয়নদের ডেরায় দিল্লির সিংহগর্জন।
বৃহস্পতিবার আইএসএল থ্রি-তে মুখোমুখি হয়েছিল গত বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ান এবং দিল্লি ডায়নামোস। যে ম্যাচের ‘ইউএসপি’ দুই বন্ধুর লড়াই। চেন্নাই কোচ মার্কো মাতেরাজ্জি এবং দিল্লি কোচ জিয়ানলুকা জামব্রোতা। যাঁরা ইতালির ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। কাপ ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে বার্লিনে ইতালির সেই ঐতিহাসিক রাতের কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন তাঁরা। যে রাতে জিদানদের বিরুদ্ধে ইতালি রক্ষণ সামলানোর ভার ছিল তাঁদের উপর। বিশ্বকাপ হাতে দুই বন্ধুর সেলিব্রেশন আজও ইতালি ভক্তদের সোনার স্মৃতি।
কিন্তু ভারতের মাটিতে দু’জনে ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী। মাঠে নেমে নয়। নিজের নিজের দলের বেঞ্চে হাতে নোটপ্যাড নিয়ে। কাউকে মার্ক করে নয়। বরং মগজাস্ত্র থেকে স্ট্র্যাটেজি কষে। যে লড়াইয়ে বৃহস্পতিবার শেষ হাসি হাসলেন জামব্রোতা। মাতেরাজ্জির চেন্নাইয়ানকে উড়িয়ে দিয়ে ৩-১ জিতল জামব্রোতার দিল্লি।
ম্যাচ শুরুর চব্বিশ ঘণ্টা আগেই সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাক্তন বার্সেলোনা, এসি মিলান ডিফেন্ডার জামব্রোতা দাবি করেছিলেন, তাঁর ছেলেদের ফিটনেসই দিল্লিকে আইএসএল ট্রফি জেতার দৌড়ে এগিয়ে রাখছে এ বার। জামব্রোতার দাবি এ দিন মাঠে হুবহু মিলিয়ে দিল দিল্লি। যাঁরা অ্যাওয়ে ম্যাচে দাঁড়াতে দেয়নি চেন্নাইকে। প্রায় সারাক্ষণ দৌড় করিয়ে দম বার করে দেয় বিপক্ষের। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি পেনাল্টি পায় দিল্লি। স্পটকিক থেকে দলকে ১-০ এগিয়ে দেন মার্সেলো পেরেরা। যার কিছুক্ষণ পরে অবশ্য ঘরের মাঠে সমতা ফিরিয়েছিল চেন্নাই। প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান স্ট্রাইকার ডুডুর গোলে ১-১ করে চেন্নাই। কিন্তু মার্সেলোর দ্বিতীয় গোলে ফের ২-১ এগোয় দিল্লি।
বিরতির পরেও ম্যাচের ছবিটা পাল্টায়নি। চেন্নাই আক্রমণ তৈরি করলেও ফিনিশ করার কেউ ছিল না। গত দু’মরসুম আইএসএলের সেরা দুই প্লেয়ার ইলানো আর মেন্দোজা এ বার দলে না থাকায় সেই সৃষ্টিশীল ফুটবলের ছাপটাই আর দেখা যাচ্ছে না চেন্নাইয়ানের খেলায়। ম্যাচের শেষের দিকে বাদজির গোলে আরও ব্যবধান বাড়িয়ে জয় নিশ্চিত করে দিল্লি। তাও আবার চ্যাম্পিয়নদের মাঠ থেকে দিল্লি পুরো তিন পয়েন্ট তুলল টিমের মার্কি ফুটবলার ফ্লোরেন্ট মালুদা-কে আশি মিনিট রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রেখে। আটলেটিকো দে কলকাতার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ ড্র করার পর মাতেরাজ্জি বলেছিলেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কোনও চাপ আমরা অনুভব করছি না।’’ কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই চেন্নাইয়ের পারফরম্যান্স অন্য কথা বলছে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy