গত কয়েকদিন ধরে বিকাশ ভবনের সামনে শীতকে উপেক্ষা করে প্রথমে অবস্থান বিক্ষোভ পরে অনশন আন্দোলন চালাচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁরা জানায় বিকেলের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা না করা হলে তাঁরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন। এরপরই বিকেলে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন রক্ষা সচিব বিনোদ কুমার। তাঁদের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধিকে ডেকে কথাও বলেন।
আন্দোলনকারী সাদ্দাম হুসেন বলেন, ‘‘আমাদের জানানো হয়েছে যে আমাদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তাঁরা। কিন্তু তার পরেও আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু রাতে হঠাৎই পুলিশ আমাদের অবস্থান মঞ্চ থেকে জোর করে তুলে দেয়। তবে এই ভাবে আমাদের আন্দোলন থামানো যাবে না।’’
আরও পড়ুন:
আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় এ বার হাঁটাচলা করা, হাত দিয়ে লেখার ক্ষমতা থাকা প্রার্থীদের সাধারণ শ্রেণিতে সংরক্ষণের সুবিধা রাখা হয়নি। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও চাকরির সুযোগ পাননি এই ধরনের শিক্ষক শিক্ষিকারা। দেশের প্রতিবন্ধী আইনে বলা হয়েছে শ্রবণ সংক্রান্ত, অস্থি সংক্রান্ত, দৃষ্টি সংক্রান্ত এবং অন্যান্য নানা শ্রেণির প্রতিবন্ধীরা ১% করে মোট ৪ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের ভুলে অস্থি সংক্রান্ত প্রতিবন্ধীদের এক শতাংশ আসন আর নেই। এই সংরক্ষণ নীতি না থাকায় অন্তত ৫০ জন ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষক, যাঁদের অস্থি সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তাঁরা পুনরায় চাকরিতে যোগদান করতে পারছেন না।