Advertisement
E-Paper

নাটকীয় শেষ তিন মিনিটে এল ক্লাসিকো ড্র

এল ক্লাসিকোর মঞ্চে শেষ তিন মিনিটের নাটক মঞ্চস্থ হয়ে গেল শনিবারের ক্যাম্প ন্যুতে। ৯০ মিনিটে মডরিচের ফ্রিকিক থেকে দুরন্ত হেডে রিয়েল মাদ্রিদকে সমতায় ফেরালেন র‌্যামোস। ৯৩ মিনিটে রিয়েল বক্সে টানটান উত্তেজনা। সার্জিও রবার্টের শট কোনও রকমে বাঁচান নাভাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ২৩:১৩
এল ক্লাসিকো খেলতে নামার আগে কাপেকোয়েনস ফুটবলারদের প্রতি শ্রদ্ধা দুই দলের শ্রদ্ধা।

এল ক্লাসিকো খেলতে নামার আগে কাপেকোয়েনস ফুটবলারদের প্রতি শ্রদ্ধা দুই দলের শ্রদ্ধা।

বার্সেলোনা ১ (সুয়ারেজ)

রিয়েল মাদ্রিদ ১ (র‌্যামোস)

এল ক্লাসিকোর মঞ্চে শেষ তিন মিনিটের নাটক মঞ্চস্থ হয়ে গেল শনিবারের ক্যাম্প ন্যুতে।

৯০ মিনিটে মডরিচের ফ্রিকিক থেকে দুরন্ত হেডে রিয়েল মাদ্রিদকে সমতায় ফেরালেন র‌্যামোস। ৯৩ মিনিটে রিয়েল বক্সে টানটান উত্তেজনা। সার্জিও রবার্টের শট কোনও রকমে বাঁচান নাভাস। সেখান থেকে ক্যাসেমিরোর হেডও বল ক্লিয়ার করতে না পারায় ফিরতি বলে আলবার শট গোল লাইন থেকে বাঁচালেন কারভাজাল।ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে।

তার আগেই বার্সেলোনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন সুয়ারেজ। ৫৩ মিনিটে বাঁ দিক থেকে নেইমারের ফ্রিকিক হেডে রিয়েল গোলে পাঠান লুই সুয়ারেজ। গোলের নিচে দাঁড়িয়ে নাভাসের কিছুই করার ছিল না। খেলা হল শেষ ৪৫।

প্রথমার্ধের খেলায় এল ক্লাসিকোর ঝাঁঝ? না তা উধাও। কেমন যেন সাবধান চলাচল। নেই আক্রমণ, নেই গোলের খিদে, নেই বল দখলের লড়়াই। খুব মাথা চুলকে যেটা পাওয়া গেল সেটা হল, ১৫ মিনিটে বল নিয়ে বে়ঞ্জিমার দৌঁড়়। বেশ কিছুটা সমস্যায় ফেলে দিয়েছিল বার্সা রক্ষণকে। শেষ মুহূর্তে কর্ণারের বিনিময়ে দলকে উদ্ধার করেন পিকে। প্রথমার্ধের ঘটনা বলতে তিন মিনিটে রিয়েল মাদ্রিদের পেনাল্টি পেয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হলেও রেফারি দেননি। যদিও বাকি সময়টা ভাল ফুটবল উপহার না দিয়েও বল পজেশনে এগিয়েই থাকল বার্সা।দ্বিতীয়ার্ধে ইনিয়েস্তা নামতেই গতি পেল বার্সার ফুটবল।

সুয়ারেজের এই উচ্ছ্বাস বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না।

তিনি ছিলেন দলে। চোট সারিয়ে ফিরেছিলেন। কিন্তু শুরুটা হল রিজার্ভ বেঞ্চে বসেই। ৬০ মিনিটে ইভান রাকিটিচকে তুলে তাঁকে মাঠে নামান কোচ। বার্সার হয়ে সব থেকে বেশি এল ক্লাসিকো খেলেছেন তিনিই। মেসির কত গোলের পিছনে তাঁর ভূমিকা রয়েছে তারও হিসেব নেই। সেই ইনিয়েস্তা নামতেই বার্সার খেলা গতি পেলেও গোলের ব্যবধান বাড়ল না। ৬৭ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে গিয়ে বক্সের মধ্যে যে ভাবে সাজিয়ে দিয়েছিলেন নেইমারকে সেখান থেকে গোল মিস করাটা বড় অপরাধ। নেইমার যেটা করলেন।এর পর সুযোগ এসেছিল মেসির সামনেও।

দ্বিতীয়ার্ধের ম্যাচ শুরুর আগে টানেলেই ছোট্ট মিটিং। কী যেন বোঝাচ্ছিলেন পিকে। রাকিটিচ, আলবা, নেইমাররা তখন শ্রোতা। ঠিক পিছনে দাঁড়়িয়ে তখন নিজের মনেই নিজেকে তৈরি করছিলেন মেসি। রিয়েল মাদ্রিদ দল ক্যামেরায় ধরা পড়়ল না। তাই দেখা গেল না ওই সময় ঠিক কী করছিলেন রোনাল্ডো। কিন্তু ব্যালন ডি’ওর-এর লড়়াইয়ে নামার আগে বিশ্ব ফুটবলের দুই চির শত্রু শনিবার নেমে পড়়েছিলেন মাঠের লড়়াইয়ে।পুরো ম্যাচে বার কয়েক মেসি দর্শন হলেও রোনাল্ডো কিছুটা আড়ালেই থেকে গেলেন। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ মুহূর্তে র‌্যামোস সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে সমতায় ফিরতে পারত রিয়েল তখনই। রোনাল্ডোর হেড বাইরে গেল অল্পের জন্য।যদিও নিজের গোল মিসের হতাশা গোল করেই কাটালেন র‌্যামোস।

এদিন একটু হলেও পিছিয়ে শুরু করেছিল রিয়েল মাদ্রিদ। দলের ফরোয়ার্ড লাইনে বিবিসির বেল ছিলেন না চোটের জন্য। ৭৭ মিনিটে বেঞ্জেমাকেও তুলে নিলেন কোচ জিদান। অন্যদিকে, বার্সেলোনার ভরা সংসার। মেসি, নেইমার, সুয়ারেজকে নিয়ে বিশ্বের সেরা ফরোয়ার্ড লাইন। যদিও ৪-৩-৩ এর চেনা ছকে সমানে সমানে শেষ হল মরসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো।

ছবি: টুইটার।

আরও খবর

এমএসএনে রক্ষে নেই সঙ্গে দোসর ইনিয়েস্তা

Leonel Messi Christiano Ronaldo
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy