টিকিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন হতাশ দর্শকরা।—ছবি ইস্ট বেঙ্গল আল্ট্রাস ফ্যানপেজের সৌজন্যে।
শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচেই টিকিটের হাহাকার ময়দানে। ডুরান্ড কাপে আর্মি রেড দলের বিরুদ্ধে প্রিয় দলের জয় দেখতেই পারলেন না কয়েকশো লাল-হলুদ সমর্থক।
শনিবার দুপুর থেকেই ময়দানে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা ভিড় জমিয়েছিলেন। কিন্তু ম্যাচ শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগেই কাউন্টারের টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানানো হয়, টিকিট শেষ হয়ে গিয়েছে। যদিও কালোবাজারে ৫০ টাকার টিকিট ২০০-তে বিক্রি হচ্ছিল। সমর্থকেরা ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পুলিশ তাঁবুর সামনে। কালোবাজারিদের সঙ্গে বচসাও বেধে যায় তাঁদের। এখানেই শেষ নয়। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সদস্য কার্ড দেখিয়েও অনেকে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাঁদেরও আটকে দেওয়া হয়। ডুরান্ড কাপের আয়োজক সেনাবাহিনীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, সদস্য কার্ড দেখিয়ে ডুরান্ড কাপের ম্যাচ দেখতে মাঠে ঢোকা যাবে না। টিকিট কেটেই ঢুকতে হবে। এই পরিস্থিতিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আবহ। উত্তেজিত দর্শকদের ছত্রভঙ্গ করতে তেড়ে যায় ঘোড়সওয়ার পুলিশ। তখন হাতের টিকিট মাথার উপরে তুলে মাঠে ঢোকেন দর্শকেরা।
উত্তর কলকাতা থেকে বছর ছয়েকের ছেলেকে নিয়ে খেলা দেখতে এসেছিলেন সোমনাথ সাহা। টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেলেন। বললেন, ‘‘দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পেলাম না। অথচ, শুনছি গ্যালারি পুরো ভর্তি হয়নি। তা হলে টিকিটগুলো গেল কোথায়?’’
ইস্টবেঙ্গল মাঠের গ্যালারিতে প্রায় ২৩ হাজার দর্শক খেলা দেখতে পারেন। শনিবার সরকারি হিসেবে অনুযায়ী ৯ হাজার ১৮৫ জন দর্শক হয়েছিল। সেনার এক কর্তার ব্যাখ্যা, ‘‘আমাদের অনেক অতিথি এই ম্যাচ দেখতে এসেছেন। তা ছাড়া নিরাপত্তার কারণে সব টিকিট বিক্রিও করা হয়নি।’’ ম্যাচ শুরু হওয়ার মিনিট কুড়ি পরে অবশ্য বেশ কয়েকটি গ্যালারির গেট খুলে দেওয়া হয়। ইস্টবেঙ্গলের তরফেও ক্লাব সদস্যদের জন্য টিকিট বিলি করা হয়। ক্লাবের এক কর্তা জানালেন, সদস্যেরা মাঠে ঢুকতে পারছেন না শোনার পরেই টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy