সেরা: কৌস্তুভ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় বাংলার কোচ হিসেবে ডাক পেলেন দুর্গাপুরের কৌস্তুভ ঘোষ।
এ মাসের ২১ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে ওই প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার জন্য ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট পাওয়ার লিফটিং অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বিশ্বভারতীর ওই পড়ুয়াকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সংস্থার রাজ্য সম্পাদক রতন বসাক বলেন, “আজ, শনিবার বাংলা দল নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর যাচ্ছেন কৌস্তুভ। প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের জন্য বিশ্বভারতীকে চিঠি আগেই দেওয়া হয়েছে।”
বিশ্বভারতী এবং ভারোত্তোলনের রাজ্য সংস্থা সুত্রে জানা গিয়েছে, শারীরশিক্ষা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র কৌস্তুভ ঘোষ ইতিমধ্যেই ভারতের হয়ে ৯৩ কেজি বিভাগে এশিয়ান চাম্পিয়নশিপে তিনটি রুপো ও একটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন।
২০১৬ সালে রাজস্থানের উদয়পুরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কৌস্তুভের এই সাফল্যকে সম্মান জানিয়ে ইন্ডিয়ান পাওয়ার লিফটিং ফেডেরশন আন্তর্জাতিক মানের ভারোত্তোলনের সমস্ত সামগ্রী দিয়েছে তাঁকে।
তাঁদের উদ্দেশ্য, যাতে দুর্গাপুরের বাসিন্দা কৌস্তুভ বাংলার হয়ে আরও নতুন প্রতিভাকে তুলে ধরতে পারেন। তাঁদের সেই উদ্যোগকে কাজে লাগাতে চান কৌস্তুভ নিজেও।
পয়লা মে ইন্দোনেশিয়ায় শুরু হওয়া এশিয়ান পাওয়ার লিফটিং চাম্পিয়নশিপে ভারোত্তোলনের ৯৩ কেজি বিভাগে বাংলা থেকে দেশের প্রতিনিধিত্বও করছেন কৌস্তুভ।
কিন্তু তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে আর্থিক ভাবনা। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক মঞ্চে নামার জন্য এক লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা প্রয়োজন। অত টাকা পাব কোথা থেকে? আর্থিক সঙ্গতি না হওয়ায়, দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরার দ্বারস্থ হয়েছি।’’
ছাত্রের এই সাফল্যে খুশি কোচ জয়ন্ত ভট্টাচার্য। জয়ন্তবাবুর দাবি, প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে কৌস্তুভের মতো বাংলার অনেক প্রতিভা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে।
জানা গিয়েছে, দেশে ভারোত্তোলন বিভাগে প্রথম অর্জুন পুরস্কার বিজেতা তথা এই বিভাগে এক মাত্র ‘হল অফ ফেম’ প্রাপক সুব্রত দত্তের উদ্যোগ এবং সুপারিশে কৌস্তুভের মতো প্রতিভাবানদের জন্য দুর্গাপুরে এমন সামগ্রী আনা হয়েছে। আশায় আগামী প্রজন্ম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy