বরাবটির রং সবুজ-মেরুন। মহানদীর তীরে নৌকার পালের হাওয়ায় নিভে গেল মশাল। মরশুমের শেষ ডার্বিতেও জয়ের ধারা অব্যহত রাখল মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ গোলে পরাজিত করে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবটি। তবে এই ম্যাচের ফলাফলের উপর নির্ভর করে সমগ্র ম্যাচের চিত্র নির্ণয় করলে ভুল হবে। এ দিন মোহনবাগান ২ গোলে জিতলেও পুরো ম্যাচে দাপটের সঙ্গে খেলল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু বরাবরে মত এ দিনও গোলের সামনে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে লাল-হলুদ ব্রিগেড। অসংখ্য সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ প্লাজা-ওয়েডসনরা। এক ঝলকে দেখলে মনে হবে আইজল ম্যাচের রিপ্লে চলছে।
এই জয়ের পিছনে মোহনবাগানের কৃতিত্ব ছোট করার কোনও জায়গা নেই। যোগ্য দল হিসেবেই ২০১৬-১৭ মরশুমের ফেড ফাইনালে জায়গা করে নিল সঞ্জয় সেন ব্রিগেড। এ দিন ম্যাচের শুরু থেকে ইস্টবেঙ্গল মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পিছিয়ে ছিলেন না কাতসুমি-নর্ডিরা। প্রধানত এই জোড়া ফলার উপর নির্ভর করেই এ দিনের ম্যাচে জয়ডঙ্কা বাজায় মোহনবাগান। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে হাইতিয়ান তারকার বাঁক খাওয়ানো ক্রসকে বাজপাখির মত ছোঁ মেরে ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে দেন ডাফি। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। স্কটিশ স্ট্রাইকারের গোলের পর মুহ্যমান কটক দেখল ফুটবলের উদ্দীপনা কাকে বলে! ভর্তি গ্যালারিতে তখন কোথাও উড়ছে আবির, আবার কোথাও মাইকের আওয়াজে ভেসে আসছে ‘আমাদের সূর্য মেরুন’।
আরও পড়ুন: কটকে যুদ্ধ, কলকাতায় জোট
এর পর আর থামতে হয়নি ফুটবলের টানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা হাজার হাজার মোহন সমর্থককে। পরতে পরতে উত্তেজনায় ভরা খেলা তারিয়ে তারিয়ে এ দিন উপভোগ করল বরাবটি। এরই মাঝে বেশ কয়েকটা ভাল আক্রমণ তুলে আনে রঞ্জন-মনোরঞ্জনের ছেলেরা। কিন্তু বারবারই অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছতে ব্যর্থ হয় ইস্টবেঙ্গলের স্ট্রাইকিং জোন। ম্যাচের অন্তিমলগ্নে ৮৪ মিনিটে লাল-হলুদ কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন পঞ্জাব-তনয় বলবন্ত সিংহ। বলবন্তের বিশ্বমানের গোলে তখন কটকের আকাশে আবিরের খেলা। অকাল দোলযাত্রায় আনন্দে বিভোর জগন্নাথ দেবের শহর।
আরও একবার বলবন্ত প্রমান করে দিলেন জেজেকে বসিয়ে তাঁকে নামানো কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত কোচ সঞ্জয়ের।
আগামী রবিবার (২১ মে) দেশের সেরার লড়াইয়ে বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হবে মোহনবাগান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy