Advertisement
E-Paper

খালিদকে সরিয়ে দেওয়ার মঞ্চ তৈরি

ইতিমধ্যেই খালিদকে ক্লাবের মনোভাব জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। লাল-হলুদ কোচ নিজে কোচের চেয়ার ছেড়ে না দিলে সোমবার কার্যকর কমিটির সভায় তাঁকে ছেঁটে ফেলার মঞ্চ প্রস্তুত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৮ ০৪:১৯
বিদায়ের পথে ইস্টবেঙ্গল কোচ। সোমবার সিদ্ধান্ত। ফাইল চিত্র

বিদায়ের পথে ইস্টবেঙ্গল কোচ। সোমবার সিদ্ধান্ত। ফাইল চিত্র

খালিদ জামিলের চাকরি যাওয়ার মুখে। সুপার কাপে সম্ভবত আল আমনা-ইউসা কাতসুমিদের জন্য নতুন কোচ আসতে চলেছেন ইস্টবেঙ্গলে। সোমবার কর্মসমিতির সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

ইতিমধ্যেই খালিদকে ক্লাবের মনোভাব জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। লাল-হলুদ কোচ নিজে কোচের চেয়ার ছেড়ে না দিলে সোমবার কার্যকর কমিটির সভায় তাঁকে ছেঁটে ফেলার মঞ্চ প্রস্তুত। শনিবার সকালে লাল-হলুদ কোচকে ডেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর সিদ্ধান্ত নিন। পাশাপাশি খালিদের হাতে ‘অপমানিত’ ম্যানেজার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যকে বলা হয়েছে, কোচ ও টিমের ব্যর্থতা সম্পর্কে রিপোর্ট দিতে। যা পেশ করা হবে কার্যকর কমিটির সভায়। মনোরঞ্জন শনিবার বলে দিয়েছেন, ‘‘রিপোর্ট তো দিতেই হবে। সভায় আমাকে ডাকা হলে এবং নতুন কোচের নাম জানতে চাওয়া হলে নিজের মত জানাব।’’ যে দুটি পদক্ষেপেই স্পষ্ট আই লিগে ব্যর্থ খালিদকে আর রাখতে চাইছে না ইস্টবেঙ্গল। খালিদের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে সমস্যা নেই। কারণ আই লিগের শেষ ম্যাচের পর ইস্টবেঙ্গল কোচ প্রকাশ্যেই বলে দিয়েছেন, ‘‘আমি নিজেই জানি না আমার সঙ্গে কী চুক্তি আছে ক্লাবের।’’ আসলে চুক্তি এবং টাকা নিয়ে অন্য কোচেদের মতো দ়ড়ি টানাটানির লোক নন খালিদ। অতি সচ্ছল পরিবারের সন্তান খালিদের প্রাপ্য চেক দিনের পর দিন পড়ে থাকে ক্লাবে। শীর্ষ কর্তারা সে জন্যই চাইছেন খালিদ নিজে ছেড়ে চলে যান।

পরিস্থিতি যা, তাতে আঠারো বছর আগে ক্লাবকে আই লিগ দেওয়া কোচ মনোরঞ্জনকে সুপার কাপের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে সোমবার। কিন্তু যে–হেতু তাঁর ‘এ’ লাইসেন্স নেই, সে জন্য একজন ডিগ্রি ধারী কোচের সন্ধান চলছে। অন্য আরও কয়েক জনের সঙ্গে সুজিত চক্রবর্তী, মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উঠছে। মনোরঞ্জন অবশ্য বললেন,‘‘আগে খালিদের ব্যাপারে ক্লাব সিদ্ধান্ত নিক, তার পর নতুন কোচের কথা ভাবব।’’ তবে সহকারী কোচ হিসাবে রঞ্জন চৌধুরী থাকছেন। খালিদের সঙ্গে গোলকিপার কোচ পিটার সিদ্দিকিরও চাকরি যাচ্ছে।

এ দিন সকালে ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে এলেও বেশির ভাগ ফুটবলারের সঙ্গে দেখাই করেননি খালিদ। জিম সেশনেও যাননি। নিজের ঘরেই বসে ছিলেন। আইজল থেকে যাঁদের লাল-হলুদে এনেছেন সেই আল আমনা, ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজ, চুলোভাদের ডেকে কথা বলেছেন। সেখানে খালিদ নিজেই নাকি সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন। ইস্টবেঙ্গলে এ দিন ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। অনুশীলন শুরু হবে ২০ মার্চ।

শুক্রবার রাতে ক্লাব সচিবের বাড়িতে আলোচনায় বসেছিলেন শীর্ষ কর্তারা। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় খালিদকে ছেঁটে ফেলা হবে। তবে সচিব বা অন্য কোনও শীর্ষ কর্তা একক ভাবে সেটা নিতে চাননি। ঠিক হয়, সোমবার কর্মসমিতির সভায় সিদ্ধান্ত হোক। এক কর্তা বললেন, ‘‘খালিদকে নেওয়ার সময় সবার মত নেওয়া হয়েছিল। ছাঁটাই হবে কি না সেটাও সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিক।’’ এমনিতে দেড় দশক ধরে ক্লাবে আই লিগ নেই বলে সমর্থকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ। বেশ কয়েক বার ক্লাব তাঁবুতে বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে আই লিগ চলার সময়। যা নিয়ে লাল-হলুদ অন্দরমহল উত্তাল। কর্তাদের যুক্তি, ‘‘খালিদকে নিয়োগের সময় কেউ বিরোধিতা করেনি। বিদেশি ও স্বদেশী ফুটবলার বেছেছেন কোচ। খালিদ সেটা স্বীকারও করেছেন। তা হলে কর্তাদের দায়ী করা হচ্ছে কেন?’’

East Bengal Football Khalid Jamil head coach I-League
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy