লাজং এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে শিলং রওনা হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টা আগে ফের ধাক্কা ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। ফিটনেস পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে ছিটকে গেলেন উইলিস প্লাজা!
মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর জাতীয় দলের স্ট্রাইকারকে আলাদা করে প্র্যাক্টিস করান কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান। অনুশীলন শেষ হওয়ার পর তিনি বললেন, ‘‘জোরে দৌড়তে এখনও সমস্যা হচ্ছে প্লাজার। তাই কোনও ঝুঁকি নিচ্ছি না। কারণ ফের যদি ও চোট পায়, তা হলে আই লিগে আর খেলতেই পারবে না।’’
চব্বিশ ঘণ্টা আগেও লাল-হলুদ অন্দরমহলের ছবিটা ছিল একেবারে উল্টো। বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচে চোট পাওয়া ওয়েডসন আনসেলমে-কে ঘিরে তৈরি হওয়া উদ্বেগ অনেকটাই কমে গিয়েছিল প্লাজার সুস্থ হওয়ার খবরে। কারণ, এমআরআই রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর কোনও চোট নেই।
তা হলে কোথায় সমস্যা? মর্গ্যান বলছেন, ‘‘চোট না থাকলেও ম্যাচ-ফিট হতে ওয়েডসনের একটু সময় লাগবে।’’ হাইতিj মিডফিল্ডারের পরিবর্তে কেভিন লোবো দীর্ঘদিন পরে দলে ঢুকলেন। তবে ফের বাদ পড়লেন জাতীয় দলের ডিফেন্ডার অর্ণব মণ্ডল।
ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে শিলংয়ের মাটিতে কখনও লাজং-কে হারাতে পারেননি মর্গ্যান। সপ্তাহ দু’য়েক আগে শিলিগুড়িতেও ড্র করে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। এ বার লড়াই শিলংয়ে। অথচ, ওয়েডসন ও প্লাজার মতো দুই সেরা অস্ত্র আহত। চিন্তিত মর্গ্যান বললেন, ‘‘বেঙ্গালুরু ম্যাচের আগে মনে হয়েছিল, প্লাজার না থাকাটা দলের পক্ষে বড় ক্ষতি। কিন্তু অসাধারণ খেলে ওর অভাব বুঝতে দেয়নি ওয়েডসন। এ বার তো দু’জনেই ছিটকে গেল। এই প্রথম বার ওদের কাউকে পাব না। বুঝতে পারছি না কী হবে।’’
ওয়েডসন, প্লাজার ছিটকে যাওয়াই শুধু নয়। লাল-হলুদ শিবিরে উদ্বেগের কারণ একাধিক। আইজলের সাড়ে তিন হাজার ফিটের সামান্য বেশি উচ্চতায় খেলতে গিয়েই নাজেহাল হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। শনিবার লাজংয়ের বিরুদ্ধে তাঁদের খেলতে হবে প্রায় পাঁচ হাজার ফিট উঁচুতে! মর্গ্যান অবশ্য বলছেন, ‘‘মনে হয় না এটা খুব বড় সমস্যা। ফুটবলাররা সকলেই এই ম্যাচটার গুরুত্ব জানে।’’ তবে শিলংয়ের উচ্চতা ও আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বুধবার সকালের উড়ানেই শিলং রওনা হচ্ছেন রবিন সিংহ-রা। সেই সঙ্গে মর্গ্যান এটাও মানতে নারাজ যে, লাজং তাঁর কাঁটা। লালা-হলুদ কোচ বলছেন, ‘‘এটা সত্যি যে শিলংয়ে ওদের কখনও হারাতে পারিনি। কিন্তু আমি অতীত নিয়ে ভাবি না। আগের ম্যাচেই ফুটবলাররা অসাধারণ খেলে বেঙ্গালুরুকে হারিয়েছে। আশা করি, সেই ছন্দটা ওরা ধরে রাখতে পারবে।’’ কিন্তু লাজংয়ের বিরুদ্ধে বারবার ব্যর্থ হওয়ার কারণ কী? মর্গ্যান বলছেন, ‘‘সেই প্রশ্নের উত্তর আমিও খুঁজে চলেছি। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েই প্রত্যেক বার আমরা খেলতে নামি। কিন্তু জয় অধরাই থেকে যায়। এ বার তা বদলাতেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy